অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
এদিন বেলায় আউশগ্রাম বিধানসভার গুসকরায় রোড শো করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অবশ্য মঙ্গলকোটে শুরুতেই শেষ হয়ে যায় দিলীপ ঘোষের রোড শো। ফিরে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এতে কর্মীরা হতাশ হয়ে যান। রোড শো ঘিরে যে উন্মাদনা শুরু হয়েছিল তাতে কার্যত জল ঢেলে দেন বিজেপি নেতা। এনিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। বিজেপি প্রার্থী রানাপ্রতাপ গোস্বামী সাফাই দিয়ে বলেন, দিলীপবাবুর আসতে একটু দেরি হয়েছিল। অন্য জায়গায় সভা আছে। তাই আর সময় না থাকায় তিনি ফিরে যান। এই ঘটনায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। এরপর ভাতারে তিনি জনসভা করেন।
এদিন পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী গোবর্ধন দাসের সমর্থনে জনসভা করেন অমিত শাহ। তিনি মঞ্চে উঠে প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন। অমিত শাহ বলেন, দিদি বড় নেত্রী। দেশের সবাই তাঁকে চেনে, জানে। তাই বড় নেত্রীর যখন বিদায় হবে, তাঁকে ধুমধামের সঙ্গে বিদায় করে দিন।
এদিন কাটোয়া শহরে সংযুক্তা মোর্চার প্রার্থী প্রবীর গঙ্গোপাধ্যায়ের হয়ে মিছিল করেন কংগ্রেসের সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে কালনা-১ ব্লকে রোড শো করেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তিতলি, কিন্নি ও ভাগ্যলক্ষ্মী প্রভৃতি টিভি সিরিয়াল খ্যাত এক ঝাঁক অভিনেত্রীরা। মধুপুর বাজার থেকে রোড শো শুরু হয়ে কাঁকুড়িয়া, সহজপুর হয়ে মেদগাছিতে গিয়ে র্যালি শেষ হয়। রাস্তার দু’ধারে মানুষের উপস্থিতি ও উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো।
এদিন তৃণমূলের বড় প্রচারসভা হয় সমুদ্রগড় নোনার মাঠে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। অরূপবাবু এদিন সভায় উন্নয়নের খেলা হবে, জেতা হবে স্লোগানকে সামনে রেখে স্বপনবাবুকে জেতানোর আহ্বান জানান।
শেষ রবিবাসরীয় প্রচার জমে উঠল শিল্পাঞ্চলেও। শনিবারের কালবৈশাখীর পর এদিন রোদের তেজ কিছুটা কম ছিল। তাই মনোরম পরিবেশেই প্রচার চালিয়েছেন মন্ত্রী থেকে অভিনেত্রী সবাই। এদিন সকালে একাধিক কর্মসূচিতে উপস্থিত হন আসানসোল উত্তরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা মন্ত্রী মলয় ঘটক। শনিবার আইনজীবীরা তাঁর হয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন এদিন তাঁর পাশে দাঁড়ালেন শিক্ষক সমাজ। আসানসোল কোর্টের সামনে ঘড়ি মোড় থেকে বুধা মোড় পর্যন্ত বর্ণাঢ্য মিছিল হয়। বহু শিক্ষক শিক্ষিকা প্রচারে অংশ নেন। এছাড়াও একাধিক জায়গায় স্ট্রিট কর্নার ও মিছিলে অংশ নেন মন্ত্রী।
আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল ডিআই কলোনি, হোস্টেল মোড়, মাঝি পাড়ায় প্রচার সারেন। এদিন তাঁর প্রচারে ভালো ভিড় হয়। আসানসোল দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ ঊষাগ্রাম এলাকায় জনসভা করার পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন। তাঁর সমর্থনে প্রচারে এসেছিলেন হুগলির তৃণমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব। বারাবনির সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী রণেন্দ্রনাথ বাগচি খুদিকায় প্রচার করেন। কুলটির বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে নিয়ামতপুরে প্রচার করেন কর্মী সমর্থকরা। বারাবনির বিজেপি প্রার্থী অরিজিৎ রায়ের সমর্থনে মিছিল করেন এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
এদিন সকালে দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী প্রদীপ মজুমদার কাঁকসার বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রচারে বের হন। তিনি হুড খোলা গাড়িতে চড়ে বামুনাড়া, গোপালপুর সহ বিরুডিহা এলাকায় প্রচার করেন। নির্বাচনীয় প্রচারের পাশাপাশি করোনা সচেতনতা নিয়েও প্রচার করেন এলাকায়। ওই বিধানসভা কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার সিপিএম প্রার্থী আভাস রায়চৌধুরীও এদিন প্রচার করেন দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপ সহ সগরভাঙা এলাকায়। তিনি ও দলের কর্মী-সমর্থকরা প্রতেকেই মাস্ক পড়েন। দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বিশ্বনাথ পাড়িয়াল দুর্গাপুরের ১৩, ১১ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে এদিন প্রচার করেন। ওই বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লক্ষ্মণ ঘোড়ুই ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ফরিদপুর এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন। পাশাপাশি ওই বিধানসভা কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী দেবেশ চক্রবর্তী এদিন বস্তি এলাকাগুলিতে প্রচার করেন। পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী লাউদোহার প্রতাপপুর ও সরপি এলাকা প্রচারে বেড়িয়ে খোলকরতাল নিয়ে কীর্তনও করেন।