অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
ব্যবসায়ীদের অনেকের মত, গত বছরের টানা লকডাউনের ঘা এখনও শুকোয়নি। তার মধ্যেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ছে। এবার সংক্রমণ আরও ভয়ংকর। তাই আতঙ্ক প্রত্যেকের মধ্যেই। এই অবস্থায় সরকারিভাবে লকডাউন না হলেও আতঙ্কের জেরে বাইরে বেড়ানোর মন নেই অনেকের।
এমনিতে প্রায় সারা বছরই মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরে পর্যটকের আনাগোনা থাকে। তাছাড়াও বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর জলাধার, শুশুনিয়া, বিহারিনাথেও বিভিন্ন সময় পর্যটকরা এসে লজে রাত কাটিয়ে যান। ফলে সংশ্লিষ্ট পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে একাধিক বেসরকারি লজ, হোটেল গড়ে উঠেছে। সরকারি উদ্যোগেও তৈরি হয়েছে একাধিক রিসর্ট।
বিষ্ণুপুরে মন্দির দর্শনের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তি পাওনা পোড়ামাটির হাট। সপ্তাহে শনি ও রবিবার ওই হাট বসে। কিন্তু গত শুক্রবার থেকে বিষ্ণুপুরের সমস্ত মন্দিরের দরজা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার পর পর্যটকের দেখা নেই পোড়ামাটির হাটেও।
বিষ্ণুপুরের হোটেল ও লজ মালিক কল্যাণ সমিতির সম্পাদক অসিত চন্দ্র বলেন, ১৫ মে পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের জন্য মন্দির বন্ধ থাকবে। এর ফলে আমাদের ব্যবসা চরম সংকটের মধ্যেই পড়বে বলে আশঙ্কা করছি। গত বছর লকডাউনের পর করোনা ভীতি উড়িয়ে বিষ্ণুপুরে পর্যটকের আনাগোনা শুরু হয়েছিল। ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় পর্যটকের আনাগোনার স্রোত ফের থমকে যাবে। তাঁর আরও দাবি, মন্দির বন্ধের ফলে গত শনিবার পোড়ামাটির হাটেও পর্যটক কম ছিল। ফোনে অনেকে লজের খোঁজ নেন। এদিন সেরকম ফোনও আসেনি।
বিষ্ণুপুরের এক ট্যুরিস্ট গাইড অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গতবার লকডাউনে মন্দির বন্ধের জন্য খুব কষ্ট হয়েছে। এবারও যদি দীর্ঘদিন মন্দির বন্ধ থাকে তবে ভবিষ্যতে কী হবে জানি না। সংসার টানাই দায় হয়ে পড়বে। বিষ্ণুপুরের পাশাপাশি মুকুটমণিপুরেও একই অবস্থা। সেখানে অবশ্য এখনও হোটেল, লজ সবই খোলা আছে। কিন্তু পর্যটকের দেখা নেই। যদিও অনেকেই মনে করছেন, বাঁকুড়ার গরম ও নির্বাচন চলার কারণেই এই সময় পর্যটক কম। যদিও সেখানকার হোটেল, লজ মালিক সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ তাপস মণ্ডল বলেন, সাধারণত অন্য বছর মে মাসে পর্যটকের সংখ্যা কম থাকে। কিন্তু গত বছর লকডাউনের জেরে ব্যবসায় কোপ পড়েছে। এবার এখনও পর্যটক না আসায় ব্যবসা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গেল।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ বাঁকুড়াতে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ব্যক্তি সংক্রমিত হচ্ছেন। বাঁকুড়ার জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার বলেন, জেলায় সক্রিয় আক্রান্ত প্রতিদিন গড়ে ১৪ শতাংশ রয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে প্রত্যেক ব্লকে ফের সেফ হোম খোলা হচ্ছে।