অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
পুরুলিয়া জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এপ্রিল মাসের শুরুর ছ’দিনে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ৭৪ জন। সেই সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে জেলায়। ১৭ এপ্রিলের মধ্যে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার ছুঁয়েছে। গত শনিবার রাত পর্যন্ত পুরুলিয়া জেলায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৪৭৫ জন। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকার বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারাও।
পুরুলিয়া জেলায় দৈনিক করোনা পরীক্ষার সংখ্যা আগের চেয়ে অনেকটাই বাড়িয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। গত শনিবার আরটিপিসিআর এবং র্যাপিড টেস্ট মিলিয়ে মোট ১৭৫৮ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া জেলায় করোনায় আক্রান্তদের সুস্থতার হার ৮৩.০৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ০.৬০ শতাংশ। পুরুলিয়ার জেলাশাসক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা সচেতনতার উপর জোর দিচ্ছি। টেস্ট, ট্র্যাকিং ও ট্রিটের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সব রকমভাবে সতর্ক রয়েছে।
পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া জেলার মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি পুরুলিয়া শহরে। তাই পুরুলিয়া শহরে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার উপর সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছে প্রশাসন। এছাড়া ব্লক এলাকাগুলিতেও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, মাস্ক পরার পাশাপাশি জমায়েত না করার বিষয়ে মাইকিং শুরু করা হয়েছে। মাস্ক না পরে রাস্তায় বেরনো মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। বিভিন্ন থানার পক্ষ থেকে পুলিসকর্মীরাও রাস্তায় সাধারণ মানুষকে এবিষয়ে সচেতন করা শুরু করেছেন। পুরুলিয়া পুরসভা এলাকাতেও পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্যরা বাজার এবং রাস্তায় সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি মাস্কও বিলি করছেন।
পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া জেলায় ভোট মিটে যাওয়ায় খানিকটা স্বস্তি হলেও জেলার বিভিন্ন গ্রামে গাজনের মেলা উপলক্ষে ব্যাপক জনসমাগম এখনও চলছে। রাতে একাধিক জায়গায় মেলা এবং ছৌনাচের অনুষ্ঠানেও প্রচুর সংখ্যক মানুষ মাস্ক এবং কোনওরকম সচেতনতা ছাড়া ভিড় জমাচ্ছেন। একাধিক জায়গায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতা বজায় রাখতে মাইকিং করা হলেও বাসিন্দাদের সচেতনতা সেভাবে বাড়েনি।
পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, জেলাজুড়েই সচেতনতা প্রচার চলছে। পুরুলিয়া শহরে ইতিমধ্যে যাত্রীবাহী বাসে উঠে খোদ জেলাশাসক ও পুলিস সুপার সাধারণ মানুষকে সচেতন করেছেন। পাশাপাশি বেশি মাত্রায় করোনা পরীক্ষার উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রয়োজনে ক্যাম্প করে করোনা পরীক্ষা করা হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।