অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
জেলা তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, উজ্জ্বলবাবুর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি নিজের বাড়িতেই পর্যবেক্ষণে আছেন। তাঁর বিশেষ কোনও শারীরিক সমস্যা নেই। এদিকে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর উজ্জ্বলবাবুর সংস্পর্শে আসে সকলের করোনা পরীক্ষা করার অনুরোধ করা হয়েছে। উজ্জ্বলবাবু ফেসবুক পেজে লিখেছেন, খুবই দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি কোভিডে আক্রান্ত হওয়ায় জনসভায় থাকতে পারলাম না। এই বিধানসভার সকল মানুষের আশীর্বাদ ও ভালোবাসা মাথায় নিয়ে খুব দ্রুত আবার রাজনীতির ময়দানে ফিরব। আপনারা এভাবেই আমাকে ও তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করে যাবেন, এই আশা রাখি।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনই হাঁসখালি ব্লকের ৬৬ বছরের এক বৃদ্ধ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। গত বছর থেকে এপর্যন্ত জেলায় করোনায় ৩৫৬জনের মৃত্যু হল। তার মধ্যে ৩০৫জন জেলার বাসিন্দা। বাকি ৫১জন বাইরের। এছাড়াও রবিবার সকাল পর্যন্ত নতুন করে ১৬২জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই ঘটনায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাদের মধ্যেও উদ্বেগ বাড়ছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই কৃষ্ণনগর ও কল্যাণীর এলাকার বাসিন্দা। সবমিলিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫০৯জন।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, নতুন করোনা আক্রান্তদের মধ্যে কৃষ্ণনগর পুরসভা এলাকার ১৭জন, চাকদহ পুরসভা এলাকার দশজন, গয়েশপুর পুরসভায় সাতজন, রানাঘাট পুরসভা এলাকার পাঁচজন, হরিণঘাটা পুরসভায় ১১জন রয়েছেন। কল্যাণী পুরসভা এলাকায় নতুন করে ৩১জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া নবদ্বীপ পুরসভা এলাকার একজন, চাকদহ গ্রামীণে ১৯জন, হরিণঘাটায় ছ’জন, কালীগঞ্জে ১২জন, করিমপুর-১ ব্লকে ছ’জন, কৃষ্ণনগর-১ ও ২ ব্লকে চারজন, রানাঘাটের-২ ব্লকের তিনজন, নবদ্বীপের গ্রামীণ এলাকায় পাঁচজন, নাকাশিপাড়ার ১২জন, হাঁসখালিতে চারজন, তেহট্টে সাতজন ও তাহেরপুরের দু’জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
ভোটের উত্তাপের মাঝে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় উদ্বেগ বাড়ছে। তা সত্ত্বেও মিটিং-মিছিল বা ভিড় এলাকায় মাস্ক পরার ব্যাপারে এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে অনীহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী বৃহস্পতিবার জেলার ন’টি বিধানসভার ভোটগ্রহণের দিন ভোট কেন্দ্রগুলোতে স্যানিটাইজার ও মাস্কের ব্যবস্থা থাকছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এছাড়াও হ্যান্ড গ্লাভসেরও ব্যবস্থা থাকছে। ভোটারদের শারীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য আশা কর্মীরা থার্মাল গান নিয়ে বুথের সামনে দাঁড়িয়ে থাকবেন। কোনও ভোটারের শরীরের তাপমাত্রা নির্দিষ্ট পরিমাণের থেকে বেশি হলে তাঁকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে ছ’টার মধ্যে ভোট দিতে আসতে হবে। তার ভোট নেওয়ার জন্য পিপিই কিট পরে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা থাকছে। জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, জেলার বাসিন্দাদের জন্য যাতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয় সেজন্য রাজ্যের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।