অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
সংক্রমণ দুর্বার গতিতে ছড়ালেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া আপাতত বন্ধ রেখেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। ভ্যাকসিনের সাপ্লাই ঠিকমতো না থাকায় প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত। চাহিদা মতো ভ্যাকসিন সরবরাহ না করে সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে কেন্দ্র সরকার ছিনিমিনি খেলছে বলে বঞ্চিতদের অভিযোগ। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন টিকার জন্য বিভিন্ন হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মানুষজন ভিড় করছেন। কিন্তু, সব জায়গায় একটাই নোটিস ঝুলছে, প্রথম ডোজ আপাতত বন্ধ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি করোনা ছড়াচ্ছে কোলাঘাট ব্লকে। গত ২৪ ঘণ্টায় ওই ব্লকে আক্রান্ত ২১ জন। ওই ব্লকে মোট অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৬৫। অন্য কোনও ব্লকে এত বেশি সংখ্যক করোনা আক্রান্ত নেই। তাছাড়া ওই ব্লকে পর পর দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। কলকাতার সঙ্গে মেচেদা, কোলাঘাটের যোগাযোগের জন্যই সংক্রমণ বেশি বলে ব্লক স্বাস্থ্যদপ্তরের এক অফিসারের দাবি। এই মুহূর্তে কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সুবিধা হতো বলে চিকিৎসকদের কেউ কেউ দাবি করছেন। কিন্তু, ভোট প্রক্রিয়া চলায় এই মুহূর্তে কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা আটকে রয়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।
এই মুহূর্তে প্রত্যেকটি ব্লক ও পুরসভা এলাকায় টেস্টের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর। তমলুক শহরের নার্সিংহোম মালিকদের নিয়ে বৈঠক করেছে মহকুমা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর। কোনও নার্সিংহোমে পজিটিভ রোগী থাকলে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি স্বাস্থ্যদপ্তরের নজরে আনারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রোগ্রেসিভ নার্সিংহোম অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক কানাইলাল দাস বলেন, প্রত্যেকটি নার্সিংহোমে একটি করে আইসোলেশনে সেল খোলা হয়েছে। রোগী আসার পর সেই সেলে প্রথমে রাখা হচ্ছে। করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর রোগীকে নার্সিংহোমে ওয়ার্ডে তোলা হচ্ছে। তমলুক এবং মহিষাদলে দু’টি নার্সিংহোমে দু’জন করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। সেজন্য ওই দু’টি নার্সিংহোম ১৪ দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।
গতবছর জেলায় তিনটি কোভিড হাসপাতাল চালু ছিল। এবার কাঁথি এবং পাঁশকুড়ার দুটি কোভিড হাসপাতাল এখনও সরকারিভাবে নেওয়া হয়নি। দু’টি হাসপাতালেরই করোনার চিকিৎসা বাবদ কয়েক কোটি টাকা পাওনা আছে। ওই দুই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় স্বাস্থ্যদপ্তরকে হাসপাতাল দিতে প্রস্তুত। কিন্তু, বকেয়া মেটানো জরুরি। টানাপোড়েনের জেরে গতবার নেওয়া দু’টি কোভিড হাসপাতাল আপাতত অধিগ্রহণের বাইরে। এই অবস্থায় মহকুমাভিত্তিক একটি করে সেফ হোম খোলা হচ্ছে। আজ সোমবারের মধ্যেই সেফ হোম চালুর নোটিস হয়ে যাবে বলে জেলাশাসক জানিয়েছেন।