অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত ১১এপ্রিল দুবরাজপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপ সাহার উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। দুবরাজপুরের ভাদুরিয়া গ্রামে তাঁর গাড়িতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ইটপাটকেল ছুঁড়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এর প্রেক্ষিতে কমিশন তাঁকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেয় বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। বর্তমানে ছ’জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান পালা করে অনুপবাবুর সঙ্গে ঘুরছেন। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার সুরক্ষাবলয়ে তিনি এখন নানা এলাকায় দাপিয়ে প্রচার করছেন। কিন্তু প্রচারে আক্রান্ত হয়েও দুবরাজপুরের তৃণমূল প্রার্থী দেবব্রত সাহা অথবা মোর্চা প্রার্থী বিজয় বাগদি কোনও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাননি।
এই পরিস্থিতিতেই গত দু’দিনে সিউড়ি ও সাঁইথিয়ার বিজেপির প্রার্থীরা অভিযোগ করেন, তাঁদের উপরও তৃণমূল হামলা করেছে। সিউড়ির বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ১৫এপ্রিল সদাইপুরের হাজরাপুর থেকে প্রচার সেরে ফেরার সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর হামলা চালায়। ‘ভারত মাতা কি জয়’ এবং ‘নরেন্দ্র মোদি’ জিন্দাবাদ স্লোগান দিতে বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু জোর করে স্লোগান দেওয়ায় তাঁর উপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ জানান। ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ওইদিনই সদাইপুর থানায় ধর্নায় বসেছিলেন তিনি।
শনিবার সাঁইথিয়া বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহাও অভিযোগ করেন, তাঁর উপরও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। তাঁর প্রচার গাড়ি সহ বেশকিছু বাইক ভাঙচুর ও দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ করেন তিনি। যদিও তাঁদের কোনও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা এখনও দেয়নি নির্বাচন কমিশন।
তবে জেলা পুলিস রিপোর্ট অনুযায়ী, সাঁইথিয়া অথবা সিউড়ি দুই ক্ষেত্রেই হামলা অথবা এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। দুই এলাকাতেই গ্রামবাসীদের সঙ্গে বিজেপি সমর্থকদের কিছু বাকবিতণ্ডা হয়েছে মাত্র। কিন্তু তেমন কোনও বড় ঘটনা ঘটেনি। দুই প্রার্থীর উপর আক্রমণের ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সিউড়ি থানায় বিক্ষোভ দেখান দলবদলু শুভেন্দু অধিকারী।
তৃণমূলের অভিযোগ, ওই তিন বিধানসভায় বিজেপির উপর কোনও হামলার ঘটনাই ঘটেনি। বিজেপি প্রার্থীরা চক্রান্ত করে নিজেদের উপর হামলার নাটক করে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নেওয়ার ছক কষেছেন। দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, বীরভূমে বিজেপি প্রার্থীদের উপর কোথাও কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি। ওঁরা পরিকল্পিতভাবে নিজেদের উপর হামলা করিয়ে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নেওয়ার ছক কষছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানিয়েছি। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে বিজেপি প্রার্থীরা গ্রামে গ্রামে দাপিয়ে প্রচারের পরিকল্পনা নিয়েছে।
সিউড়ির বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, পুলিসের সামনে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা আমাদের আক্রমণ করেছে। কর্মী-সমর্থকদের মারধর করেছে। আমরা দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি।