অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বীরভূম ও রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলা সব মিলিয়ে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৪হাজার ৭৩৭জন। বর্তমানে সক্রিয় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮৮৭জন। আর সব মিলিয়ে এপর্যন্ত মারা গিয়েছেন ১১৮জন। এর মধ্যে রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যাই বেশি।
এভাবে হু হু করে করোনা ছড়ালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন। বিশেষ করে মুরারই ও রামপুরহাটের হাল দেখে চিকিৎসকরা খুবই চিন্তিত। জেলার সদর শহর সিউড়ি, বোলপুর, সাঁইথিয়া, দুবরাজপুর, মহম্মদবাজার, রাজনগর, খয়রাশোল প্রভৃতি এলাকাতেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর মধ্যে বোলপুর ও সিউড়ির অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। এই অবস্থায় অধিকাংশ রাজনৈতিক দলগুলির প্রচারে করোনা বিধি মানা হচ্ছে না। ভিড়ে ঠাসা অবস্থায় চলছে বাস ও লোকাল ট্রেনগুলি। রেল কর্মীদের অনেকেই সংক্রমিত হয়েছেন। সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে বলে চিকিৎসক মহলের অভিমত।
এদিকে মুরারই-১নম্বর ব্লকের রাজগ্রামেও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ১৪ এপ্রিল এই এলাকায় ক্যাম্প করে ১৯৬জনের অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ৬৮জনের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। যদিও কিটের অভাবে তারপর থেকে পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আসিফ আহমেদ বলেন, কিট সরবরাহ না থাকায় ক্যাম্প করা যাচ্ছে না। তবে রাতেই কিট ঢুকে যাবে বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে। তিনি বলেন, যা অবস্থা তাতে কমিউনিটি স্প্রেড শুরু হয়ে গিয়েছে। গ্রিন জোনই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আম্ভুয়া গর্ভমেন্ট মডেল স্কুলকে সেফহোম করার জন্য জেলায় আবেদন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি তারাপীঠে যে হোটেলকে আগে সেফহোম করা হয়েছিল, সেটি পুনরায় চালুর পাশাপাশি রামপুরহাটে একটি নার্সিংহোম ভাড়া নিয়ে কোভিড হাসপাতাল খোলার তোড়জোড় শুরু হয়েছে বলে স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন। বোলপুর কোভিড হাসপাতালে এদিন পর্যন্ত ৬০জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুবরাজপুর সেফহোমে রয়েছেন ৩৩জন। বাকি আক্রান্তরা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। রামপুরহাট মেডিক্যালের কোভিড আইসোলেশন ওয়ার্ডেও রোগীর ভিড় বাড়ছে।
এদিকে সংক্রামণ বেড়ে চলার খবরে অনেকেই আসছেন টিকা নিতে। যদিও জোগান কম থাকায় অধিকাংশ সাবসেন্টারে ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। তবে বীরভূম স্বাস্থ্যজেলার ডেপুটি সিএমওএইচ(৩) জয়ন্ত শুকুল বলেন, আজ, সোমবার জেলায় ২২হাজার কোভিশিল্ড আসছ। তার মধ্যে রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার জন্য সাত হাজার। পরের সপ্তাহে আরও আসবে। তখনই সব সাবসেন্টারে পুরো দমে টিকাকরণ চালু করতে পারব।
এদিকে সংক্রমণ বেড়ে চলার জন্য বিজেপিকে সরকারকে দায়ী করেছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, বিজেপি সরকার আট দফা নির্বাচন করে রাজ্যে করোনা ছড়িয়ে দিয়েছে। অথচ ২৩৪ আসনের তামিলনাড়ুতে এক দফায় ভোট হল। এরাজ্যেও বাকি তিন দফার ভোট এক দফায় করতে পারত নির্বাচন কমিশন।