অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
গোটা ঘটনায় বাকরুদ্ধ এলাকার বাসিন্দারা। টলিউডের সাড়া জাগানো অভিনেত্রী কালবৈশাখী উপেক্ষা করে গ্রামের মেয়েদের জন্য ছুটছেন। তখন আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মীরাও। কালবৈশাখী ঝড়েও তখন কর্মীদের মধ্যে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। অভিনেত্রীকে নিয়ে কর্মী-সমর্থকরা আরও এগিয়ে চললেন। এবার ঝড়ের সঙ্গে শুরু হল প্রবল বৃষ্টি, অল্প শিলাবৃষ্টিও। কর্মীদের অনুরোধ করলেন তাঁরা যেন ফিরে যান। কিন্তু একা প্রার্থীকে ছাড়তে নারাজ কর্মীরা। অগত্যা অভিনেত্রী আশ্রয় নিলেন এক দুঃস্থ পরিবারে। পূর্ণিমা কর্মকারের এক চিলতে বাড়িতেই সাবলীল রইলেন অভিনেত্রী। সামনে থেকে দেখলেন গ্রাম বাংলার ঝড়ের তাণ্ডব।
ঝড়ের গতি কমে এল, বৃষ্টিও থামল, কিন্তু কমল না তৃণমূল কর্মীদের উৎসাহ। সায়নীর এই ভূমিকা দেখে কার্যত টগবগ করে ফুটছেন তাঁরা। জিতলে এলাকাবাসীর বিপদে পালিয়ে যাওয়ার মতো প্রার্থী নয় সায়নী। নিজেদের সেই আত্মবিশ্বাস যেন ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাবাসীর মধ্যেও। কালবৈশাখীর তাণ্ডবের পর অভিনেত্রী প্রচার শুরু করতেই ভিড় কয়েকগুণ বেড়ে গেল। বৃষ্টি যেন তাঁর কাছে আশীর্বাদ হয়ে বর্ষণ হল। অভিনেত্রীর মুখেও তখন তৃপ্তির হাসি। মাঝপাড়া, নামোপাড়া, ছুতোর পাড়া হয়ে হরিমন্দিরে এসে শেষ হয় প্রচার। তখন সায়নী জ্বরে কাবু চেলোদ।
রাজনৈতিক মহলের মতে, যেভাবে ঝড়কেই নিজের প্রচারের হাতিয়ার করে তুললেন অভিনেত্রী, তাতে তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় পাওয়া যায়। বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে কালবৈশাখীতে অভিনেত্রীর দৌড় এখন ভাইরাল। তবে সবাই তো সায়নী নয়, তাই কালবৈশাখী রীতিমতো বেকায়দায় ফেলছে অন্যান্য প্রার্থীদের। একে তো সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বড় প্রচারের অনুমতি নেই। তাই সকাল কাটছে বাড়িতে বসেই। তার উপর বিকেল হলেই ঝড়। প্রচার করতে গিয়ে বারবার বাধার মুখে পড়ছেন ডান, বাম সব দলের প্রার্থীরাই।
তবে রবিবার তৃণমূলের প্রচারে আরএক অভিনেত্রী শতাব্দী রায়ও ঝড় তুলেছেন। বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ এদিন সকালে বারাবনি বিধানসভা এলাকায় প্রচারে আসেন। তাঁকে দেখতে ভিড় উপচে পড়েছে। এদিন তিনি প্রথম রোড শো করেন গিরমিট মোড় থেকে। হুড খোলা জিপে অভিনেত্রীর সঙ্গী হন বারবানির বিধায়ক তথা তৃণমূল প্রার্থী বিধান উপাধ্যায়। রোড শো চলে কাঁটাপাহাড়ী পর্যন্ত।
শতাব্দী বলেন, মানুষের মুখের ভাষার উচ্ছ্বাসই বলে দিচ্ছে বিধানবাবুর তৃতীয়বার বিধায়ক হওয়া সময়ের অপেক্ষা। এদিন বিকেলে তিনি পানুরিয়া মোড় থেকে পাঁচগাছিয়া পর্যন্ত রোড শো করেন।