উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে মেধাতালিকায় ঠাঁই না পেলেও জয়েন্ট এন্ট্রান্সে জোড়া সাফল্য পেয়েছে পশ্চিম বর্ধমান। শুভম ছাড়াও দুর্গাপুরের ডিএভি মডেল স্কুলের আর এক ছাত্র পূর্ণেন্দু সেন রাজ্যে পঞ্চম হয়েছেন। দু’জনেই কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করতে চান। পূর্ণেন্দুর পড়াশোনার সুবিধার্থে পরিবার ছেড়ে ছেলেকে নিয়ে একাই ঘর ভাড়া নিয়ে থাকেন দীপ্তি সেন। ছেলের সাফল্যে আনন্দে আত্মহারা তিনি। জোড়া সাফল্য খুশি স্কুল কর্তৃপক্ষও। শুভমের মা ডিএসপি মেন হাসপাতালের কর্মী। ছোট থেকেই শুভমের পড়াশোনার সব দায়িত্ব ছিল বাবার উপরই। উত্তর কাশীর জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন বিশ্বনাথবাবু। ২০০৮ সালে চাকরি ছেড়ে দেন। দিনরাত ছেলের পিছনে সময় দিতেন। ছেলেকে একটা জায়গায় পৌঁছে দেওয়াই তাঁর ব্রত হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে, তাঁকে হতাশ করেনি ছেলে।
শুভম বরাবরই পড়াশোনায় ভালো। সিবিএসসি বোর্ড থেকে উচ্চমাধ্যমিকে ৯৯.৪ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। মাধ্যমিকে পেয়েছিলেন ৯৮.৬ শতাংশ নম্বর। দিনে ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা পড়ার পাশাপাশি টেবিল টেনিস, ক্রিকেট খেলতে ভালোবাসেন। তাঁর প্রিয় মেনু মায়ের হাতে তৈরি মাছের ঝোল। শুভম বলেন, আমার এই সাফল্যের পিছনে বাবা-মা, আত্মীয়দেরও অবদান আছে। স্কুল, কোচিং সেন্টার, প্রাইভেট টিউটরদের কাছ থেকেও প্রচুর সাহায্য পেয়েছি।
পূর্ণেন্দুর বাবা ডিভিসির মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মী। তাঁরা সকলে মেজিয়ার এমটিপিএস কলোনিতেই থাকতেন। কিন্তু একাদশ শ্রেণী থেকে দীপ্তিদেবী ছেলেকে নিয়ে দুর্গাপুরে সিটিসেন্টারের অম্বুজায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকেন। প্রতি সপ্তাহে তাঁদের কাছে আসতেন পূর্ণেন্দুর বাবা গোপালচন্দ্র সেন। পূর্ণেন্দুর দাদা দীপ্তেন্দু সেন আইআইটি খড়গপুরে গবেষণা করছেন। তিনিও ভাইকে অনেক সাহায্য করেছেন।
দীপ্তিদেবী বলেন, ছোট ছেলে আমার খুব জেদি। চিকেন ওর ভিষণ প্রিয়। ও বলে, চিকেন খেলে নাকি ওর এনার্জি খুব বেড়ে যায়। ওর সাফল্যে আমরা গর্বিত। পূর্ণেন্দু বলেন, ধারাবাহিক পড়াশোনা করলেই মিলবে সাফল্য। তবে, প্রশ্নোত্তরের উপর বাড়তি জোর দিতে হবে।
স্কুলের অধ্যক্ষ পাপিয়া মুখোপাধ্যায় বলেন, খুবই ভালো লাগছে। আশা করি, আগামী দিনে আমরা শহরকে আরও সাফল্য এনে দিতে পারব।
পঞ্চম স্থানাধিকারী পূর্ণেন্দু। - নিজস্ব চিত্র