উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগেও একাধিকবার রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছে ওই এলাকা। তৃণমূলের আব্দুল আজিজ খান ওরফে লাল্টু ও তাইবুল আলি গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছে। এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন আগেই তৃণমূলের ওই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোল হয়েছিল। সেই সময় তাইবুল গোষ্ঠীর লোকজন মার খেয়েছিল। বৃহস্পতিবারের ঘটনা তারই পাল্টা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজি হয়। গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটে। ওই সংঘর্ষের মাঝে পড়ে যান ইসরাইল। বাড়ির সামনে একটি গাছের নীচে বসে থাকার সময় বোমার আঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা চরমে ওঠে। দফায় দফায় বিক্ষোভ ও অবরোধ করা হয়। বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিস প্রায় ৬ ঘণ্টা মৃতদেহ উদ্ধার করতে পারেনি। পরে বিকেলে নিহত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে আসেন রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পরিবারের সদস্যদের আশ্বস্ত করার পরই পুলিস দেহ উদ্ধার করে। ইসরাইল আব্দুল আজিজ গোষ্ঠীরই লোক ছিলেন।
মৃতের দাদা ইসমাইল খান বলেন, আমরা বরাবর তৃণমূল করে আসছি। তাইবুল ও তার দলবল তৃণমূল করলেও বিজেপির সঙ্গে তলেতলে যোগাযোগ রাখত। ওরা আমাদেরও বিজেপির হয়ে কাজ করার জন্য চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু, আমরা তা না করায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের আব্দুল আজিজ সাহেব বলেন, আমাদের দলে হিংসার স্থান নেই। ওরা তৃণমূলের পরিচয় দিয়ে বিজেপির হয়ে সন্ত্রাস চালিয়েছে। সেই সন্ত্রাসের বলি হয়েছেন আমাদের দলেরই কর্মী।
যদিও বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর ভাগ বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে ওই খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই।