উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
কালনা থানার পুলিস পায়েলের শাশুড়ি দীপালি বর্মনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিরা পলাতক। বৃহস্পতিবার ধৃতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
কালনার শহরের ভাড়াবাড়িতে থাকেন পলাশবাবু। বছর দশেক আগে তাঁর বড় মেয়ে পায়েলের সঙ্গে কালনার নিচু জাপট এলাকার ব্যবসায়ী বাড়ির ছেলে অভিজিৎ বর্মনের বিয়ে হয়েছিল। প্রেম করে বিয়ে। পলাশবাবু বলেন, আমার মেয়ে তখন ক্লাস এইটে পড়ে। মেয়ে খুব সুন্দরী ছিল। নাবালিকা অবস্থায় একপ্রকার জোর করেই বিয়ে করেছিল। আমি গরিব দোকান কর্মচারী। লোকজন বলেছিল, বড়লোক বাড়িতে মেয়ের বিয়ে হয়েছে। মেনে নাও। মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু, বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়ের উপর অত্যাচার শুরু করেছিল। আমরা গরিব। তাই আমাদের বাড়িতেও ঠিকমতো আসতে দিত না। নাতি হল। ভেবেছিলাম, সব ঠিক হয়ে যাবে। এখন বুঝতে পারছি, ভুল ভেবেছিলাম। তিনি বলেন, জামাইষষ্ঠীর দিন অভিজিৎ আসেনি। নাতিকে নিয়ে পায়েল এসেছিল। সন্ধ্যায় ছেলে আর বোনকে নিয়ে পায়েল শহরের রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিল। সেখানে প্রাইমারি স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে সেলফি তোলায় জামাইয়ের চোখে আমার মেয়ে হয়ে গেল চরিত্রহীন। বুধবার বিকেলে অভিজিৎ কয়েকজনকে নিয়ে আমাদের বাড়ি এসেছিল। সঙ্গে পায়েলও ছিল। আমার দুই মেয়েকেই অত্যন্ত কুৎসিত ভাষায় গালিগালাজ করে। বাবা হয়ে আমি সেসব কথা বলতে পারব না।
পলাশবাবু বলেন, আমরাও উত্তর দিতে পারতাম। কিন্তু সমস্ত অপমান মুখ বুজে সহ্য করেছিলাম। শুধু মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে। কিন্তু, সেই মেয়েই চলে গেল। সন্ধে সাতটা নাগাদ খবর এল, মেয়ে আগুনে পুড়ে গিয়েছে। মেয়ের শ্বশুরবাড়ি গিয়ে দেখি, বাথরুমে মেয়ে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বাড়িতে কেউ নেই। মেয়ের জিব বেরিয়ে ছিল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, মেয়েকে গলা টিপে মেরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমি বিচার চাই।