যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
নওদা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মধুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাবুপাড়া গ্রাম অবস্থিত। মধুপুর-গাদিগাছা রাস্তা ধরে কিছুটা এগলেই বাবুপাড়া গ্রাম পড়বে। রাস্তার দু’ধারে পাকা বাড়ি। দোকান ও প্রাথমিক স্কুল। সেই স্কুলেই রয়েছে ১২২নম্বর বুথ বা ভোটগ্রহণ কেন্দ্র। ঠিক বুথের আগে ডান দিকে ঢালাই রাস্তা ধরে কিছুটা যেতেই পড়বে বিশাল বটগাছ। গাছ থেকে ঝুরি ঝুলে পড়েছে। সেখানেই কালীর থান ও শিবলিঙ্গ রয়েছে। পাশে মনসা মন্দির। গাছের গুঁড়ির চারপাশ সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো। এদিন সেখানে বসেই গল্পে মশগুল ছিলেন গ্রামবাসীদের একাংশ। সেখানে যুবকদের পাশাপাশি মাঝবয়সি পুরুষরাও ছিলেন। মাঝেমধ্যে কেউ কেউ উঠে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছিলেন। কেউ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে সেখানে এসে বসছিলেন। তাঁদের কেউ প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট, আবার কেউ সাধারণ ভোটার। ভোট নিয়ে তাঁদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা নেই।
ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে এলাকাটির দূরত্ব ২৫০-৩০০মিটার। সংশ্লিষ্ট গ্রামে একাংশকে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলে বিজেপি। সেব্যাপারে প্রশ্ন করতেই নবকুমার খামারু নামে এক রাজমিস্ত্রি বলেন, ভোটের জন্য আজকে কাজে যাইনি। সবার সঙ্গে মিলেমিশে ভোটের আনন্দ উপভোগ করছি। মুজিবর শেখ নামে আরএক ভাঙাচোরা জিনিসপত্রের ব্যবসায়ী বলেন, ভোটের কারণে ব্যবসা বন্ধ রেখেছি। ভোট দেওয়ার পর এখানে বসে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছি। আমাদের এখানে শান্তিতে ভোট হয়। কোনও গোলমাল হয় না।
কিন্তু, বুথ দেখে তো মনে হচ্ছে-এটা ‘সীমান্তবর্তী’ গ্রাম। বুথে চারজন জওয়ান। ঘন ঘন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা গাড়ি নিয়ে গ্রামের রাস্তায় টহল দিচ্ছেন। নির্বাচনী প্রচার পর্বে কিংবা এদিন সকালে গ্রামে কী কোনও গোলমাল হয়েছে? এই প্রশ্ন শোনার পরই চিত্তরঞ্জন সরকার ও আজিজুল মণ্ডলরা বলেন, এই গ্রামে কোনও দিন গোলমাল হয়নি। আর হবেও না। কারণ, দুর্গাপুজো, কালীপুজো, শিবপুজো, মনসাপুজো সবকিছুই উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে উদযাপন করেন। পুজোর প্রসাদ সকলে ভাগাভাগি করেই খাই। ঠিক একইভাবে ঈদ পালন করা হয়। ঈদের সিমুই সহ নানা পদ আমরা ভাগাভাগি করে খাই। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্ম নিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি হলেও আমরা একসঙ্গে বসবাস করছি। তাই নির্বাচন কমিশন নিয়ম মেনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করলেও ভোট উৎসব একজোট হয়েই পালন করছি। একদা এখানে আরএসপির জোর ছিল। এখন তা নেই। বর্তমানে এখানে তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যেই লড়াই হচ্ছে। এখানে বিজেপি এখন সেভাবে মাথা চাড়া দিতে পারেনি।