যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
সোমবার উপনির্বাচনে কান্দি বিধানসভার ৬৮ ও নওদার ৭৪ নম্বর দুই ‘আদর্শ বুথ’ ভোটারদের কাছে হয়ে উঠেছিল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। ভোটাররা দুই আদর্শ বুথের প্রশংসা করেন। ভোটদান পর্ব শেষে প্রত্যেকেই তৃপ্তির হাসি নিয়ে ভোটের কালি দেওয়া আঙুল দেখিয়ে বললেন, উৎসবের মেজাজেই ভোট দিলাম। শুরু থেকে ভোটদানের হার বাড়তে থাকায় সাফল্য নিয়ে উচ্ছ্বসিত মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন। বহরমপুরের বিডিও রাজশ্রী নাথ বলেন, ভোটারদের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রমুখী করার উদ্দেশে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মডেল বুথের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আমাদের প্রয়াস সার্থক বলে আমরা মনে করছি।
এদিন কান্দি বিধানসভার বহরমপুর ব্লকের সাঁটুই আরএন হাইস্কুলে একটি ও নওদা বিধানসভার বেলডাঙা-১ ব্লকের মাড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিশুরপুকুর হাইস্কুলে অপর একটি আদর্শ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। সাঁটুই আরএন হাই স্কুলে ২৩৫ নম্বর বুথে ভোটার সংখ্যা ১০৫৭ ও ২৩৬ নম্বর বুথে ভোটার সংখ্যা ৯৬৭। বিশুরপুকুর হাইস্কুলে ৫১ নম্বর ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা ১২৩৫। দু’টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের প্রবেশপথ থেকে শুরু করে গোটা এলাকা ফুল, বেলুন দিয়ে সাজানোর পাশাপাশি পুরো এলাকা কার্পেট দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি মহিলা ভোটারদের সহযোগিতার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল মহিলা পুলিস। প্রতিবন্ধী ভোটারদের কথা মাথায় রেখে তাদের জন্য রাখা হয়েছিল হুইল চেয়ার। সদ্য সন্তানের জন্ম দেওয়া মায়েদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা সহ শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য খেলনা সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম মজুত ছিল। ভোটদান পর্ব শেষে শিশুদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে চকোলেট দেওয়া হয়েছে। প্রচণ্ড গরম থাকায় ভোটদাতারা অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কায় খোলা হয়েছিল মেডিক্যাল ক্যাম্প। ক্যাম্প থেকেই ভোটারদের ওআরএস সহ ওষুধ বিলি করা হয়েছে। দু’টি আদর্শ বুথ থেকেই ভোটারদের ঠান্ডা পানীয় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মাতৃদুগ্ধ পান করানোর জায়গা, বিশ্রামাগারেরও সুবিধা ছিল। অবাধ ভোটদানের নিরাপত্তা ছিল। ভোট দিয়ে বেরিয়ে ৫১ নম্বর বুথের ভোটার জয়শ্রী মণ্ডল বলেন, এত সুন্দর পরিবেশ ও সুরক্ষার মধ্যে আগে কোনওদিন ভোট দিইনি। এবার অভিনব অভিজ্ঞতা হল। সাঁটুইয়ের এক ভোটার বলেন, মুর্শিদাবাদ জেলায় ভোট মানেই উত্তেজনা, রক্তক্ষয়। সব বুথকে আদর্শ বুথের আদলে আনতে পারলে কোনও রাজনৈতিক সংঘর্ষ থাকবে না।