কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তিনটি প্রকল্পে পাশ করে খেতাব এসেছে জেলা হাসপাতালে। লাকশা, মুসকান, এনকিউএএস প্রকল্পের ১৬ টি বিভাগে কোয়ালিটি সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়েছে শুক্রবার। সাফল্যের পুরস্কার হিসেবে ৯০ লক্ষ করে তিন বছরে প্রায় ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হবে হাসপাতালকে। সেই টাকায় পরিকাঠামো উন্নয়ন করতে চায় কর্তৃপক্ষ।
সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন, গত বছর বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের টিম পরিদর্শন করেছিল। তাঁদের রিপোর্টে তিনটি প্রকল্পে দেশে সেরার তকমা পেয়েছে বালুরঘাট হাসপাতাল। তিন প্রকল্পে হাসপাতালের প্রসূতি, শিশু, এমার্জেন্সি, সহ ১৬ টি বিভাগে কোয়ালিটি সার্টিফিকেটও পেয়েছি আমরা। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ সুদীপ দাসের নেতৃত্বে আমাদের টিম খুব ভালো কাজ করছে। এই সার্টিফিকেট আরও ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা দেবে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত বছর ২৫ থেকে ২৭ মে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের টিম পরিদর্শন করে। তিনদিন ধরে হাসপাতালের সমস্ত বিভাগ ঘুরে দেখেন প্রতিনিধিরা। রোগীদের সঙ্গে পরিষেবা নিয়ে কথা বলে রিপোর্ট দিয়েছিলেন তাঁরা। এনকিউএএস প্রকল্পে হাসপাতালের সব বিভাগের চিকিৎসা পরিষেবার পরিকাঠামো, গুণগত মান ও অন্যান্য বিষয় যাচাই করা হয়। লাকশা প্রকল্পে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ এবং মুসকান প্রকল্পে শিশু বিভাগের সবদিক খতিয়ে দেখা হয়েছিল। সেই বিভাগে রোগীদের পরিষেবা কেমন, অভিযোগের রিপোর্ট, চিকিৎসকদের ভূমিকা ইত্যাদি বিষয় দেখে নম্বর দেয় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি টিম। জেলা হাসপাতাল তিনটি প্রকল্পে যথাক্রমে ৯৬, ৯৪ ও ৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। অন্যদিকে, শুধুমাত্র এনকিউএএস প্রকল্পে নদীয়ার পানিঘাটা হাসপাতাল ৬ টি বিভাগে ৭৯.১৮ পেয়েছে।
আগেও কায়া প্রকল্পে সেরার শিরোপা অর্জন করেছিল বালুরঘাট হাসপাতাল। পুরস্কার হিসেবে পাওয়া ৫০ লক্ষ টাকায় হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে। এবার মেল ও ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে এসিও বসাতে চলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফের কেন্দ্রের অনুদান পেলে অন্যান্য কাজ করা হবে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মেডিক্যাল কলেজ নেই। এমন পরিস্থিতিতে জেলার প্রধান বালুরঘাট হাসপাতালে মাঝেমধ্যে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। তবে, পরিমাঠামোর দিক থেকে অন্যান্য হাসপাতালের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে বলে দাবি। বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল। - নিজস্ব চিত্র।