অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
এলাকায় শান্তিশৃখলা বজায় রাখাতে দুই শিবিরের নেতারাই বর্তমানে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। আগেভাগেই নিজেদের ঘর সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে যুযুধান দুই শিবির। রবিবার দুপুরে তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের তৃণমূলের নাককাটিগছ অঞ্চল সভাপতি পিন্টু হোসেন বুথ সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করেন। মধ্য দ্বিপরপাড়ে ওই সভাটি হয়। সেখানে নাককাটিগছ অঞ্চলের ২ টি বুথের সভাপতি উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে, এদিন দুপুরেই তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের মহিষকুচি বাজারে বিজেপি নেতারা দলের কার্যকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন।
তৃণমূলের নাককাটিগছ অঞ্চল সভাপতি পিন্টু হোসেন বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বুথে সমীক্ষা চালিয়েছি। এখানে তৃণমূল কংগ্রেসই জিতবে। ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরে যাতে কোনওরকমের গণ্ডগোল না হয় তা নিয়ে বুথ সভাপতিদের সঙ্গে এদিন আলোচনায় বসি। তাঁদের কাছে অনুরোধ রেখেছি গত লোকসভা ভোটের পর বিরোধীরা বাড়ি ছেড়ে পালতে বাধ্য হয়েছিল। এবার আমরা সেটা হতে দেব না। আমরা বিরোধীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আশ্বাস দিয়ে আসব, বলব আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে বাড়িতে থাকুন। দরকার হলে আমরা তাঁদের বাড়ির সামনে পাহারাও দেব।
এদিন বিকেলে মহিষকুচি-২ অঞ্চলেও একই বিষয় নিয়ে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বুথ সভাপতিদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। অঞ্চল সভাপতি নীহার বড়ুয়া বলেন, ভোটের ফলাফল নিয়ে আমাদের চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়ে গিয়েছে। আমরাই জিতব। ফল প্রকাশের পর কোনওরকমের অশান্তি করা যাবে না। মূলত এটা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এদিকে তুফানগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের সংযোজক বিজেপির উৎপল দাস বলেন, শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কার্যকর্তাদের নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আমরা চাই কোনওরকম গণ্ডগোল যাতে না হয়। তাই কর্মীদের ধৈর্য ধরে সব কাজ সামলাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই তুফানগঞ্জ এবং নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক অশান্তির ঘটনা ঘটছে। প্রতিদিনই মারামারি, বোমাবাজি, পার্টি অফিস ভাঙচুর, রক্তপাতের ঘটনায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ভোট শেষ হওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত তুফানগঞ্জের তিন জায়গায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উভয়দলের বেশ কয়েকজন ওসব ঘটনায় জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।