অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
ওই এলাকার বাসিন্দারা বলেন, দিনে-রাতে সর্বক্ষণ ধুলো উড়ছে। ঘর ধুলো-বালিতে ভরে গিয়েছে। রীতিমতো শ্বাসকষ্টে ভুগতে হচ্ছে। সামনে বর্ষা আসছে। তারআগে রাস্তা সংস্কার করা না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে।
ময়নাগুড়ি হাইওয়ে ট্রাফিক বিভাগের ওসি হোমেশ্বর পাল বলেন, আমাদের টিম জাতীয় সড়কে টহল দেয়। যন্ত্রাংশ বিকলের জন্য গাড়ি রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়লে প্রয়োজনে আমরাই ক্রেন দিয়ে সরানোর ব্যবস্থা করি। যানজট হলে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কিন্তু, জাতীয় সড়ক পুরপুরি সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত এই সমস্যা থেকে বেরনোর কোনও রাস্তা আমরা দেখছি না।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রজেক্ট ডিরেক্টর সঞ্জীব শর্মা বলেন, রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে নির্মাণকারী সংস্থাকে জানানো হয়েছে। আশা করি, দ্রুত তারা কাজ শুরু করবে। তবে রাস্তার যা পরিস্থিতি তা ভয়ঙ্কর বলাই যায়। আমরা বিভিন্ন এলাকায় তাই ধীরে যানবহন চালানো সংক্রান্ত বোর্ড লাগিয়ে দিয়েছি।
ময়নাগুড়ির অসম মোড় থেকে ময়নাগুড়ি রোড পর্যন্ত রাস্তাটি সবচাইতে বেহাল হয়ে আছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগকারী ৩১ নম্বর এই জাতীয় সড়ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিলিগুড়ির দিক থেকে আসা পণ্যবাহী লরি এই রাস্তা দিয়ে অসমে যায়। আবার শিলিগুড়ি-কোচবিহার, ধূপগুড়ি সহ অসম, মেঘালয়গামী যাত্রীবাহী বাস এই রুট ব্যবহার করে। কিন্তু, কয়েক কিমি রাস্তা এতটাই ভাঙা যে গাড়িগুলি হেলতে-দুলতে চলে। গাড়ির গতি কমে ঘণ্টায় পাঁচ কিমিও হয় না। কার্যত জাতীয় সড়ক হয়ে উঠেছে চাষের জমি। যে কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনা। গাড়ির যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যাচ্ছে, এর ফলে রাস্তায় গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ছে। রাস্তার মাঝে কোনও গাড়ি খারাপ হয়ে পড়লে তখন ওই গাড়িকে সাইড কাটিয়ে যেতেই অন্য গাড়ির লাইন পড়ে যায়।
শিলিগুড়ি-কোচবিহার কিংবা ধূপগুড়ি, ফালাকাটায় যাওয়া নিত্যযাত্রীরা সবচাইতে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। হাইওয়ে ট্রাফিক পুলিস নিয়মিত নজরদারি চালালেও গাড়ি রাস্তায় খারাপ হয়ে গেলে তখন ক্রেন দিয়ে গাড়ি সরাতে গেলে আরও বিপত্তি বাড়ে।