অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
বিজ্ঞান কেন্দ্রের ইনচার্জ ঋতব্রত বিশ্বাস রবিবার বলেন, কোভিডের গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। তাই উপর মহলের নির্দেশ অনুযায়ী আপাতত শুধুমাত্র ভিজিটারদের জন্য আগামী মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত বিজ্ঞান কেন্দ্র বন্ধ থাকছে। তবে আমাদের অফিস সংক্রান্ত কাজকর্ম সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত হবে। আমরা উপর মহলের নির্দেশ অনুযায়ী বিজ্ঞান সচেতনতামূলক বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনলাইন প্লাটফর্মে করব। তাতে ক্যুইজ, আলোচনার মতো বিষয়গুলি থাকবে।
এরআগে লকডাউন পর্বে প্রায় আটমাস বন্ধ ছিল উত্তরবঙ্গ বিজ্ঞান কেন্দ্র। গত ১০ নভেম্বর সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিজিটারদের জন্য উত্তরবঙ্গ বিজ্ঞান কেন্দ্রের দরজা খোলা হয়। তখন মাস্ক পরে প্রবেশ করা, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জাগয়ায় হ্যান্ড স্যানিটাইজ করার মতো ব্যবস্থা করা হয়েছিল। একই সঙ্গে সায়েন্স মডেলগুলিতে স্যুইচের পরিবর্তে সেন্সর যুক্ত করা হয়েছিল। এ জন্য বিজ্ঞান কেন্দ্রের কর্মীরা ফুট অপারেটেড স্যানিটাইজার মেশিন বসিয়েছিলেন। স্পর্শহীন একাধিক সায়েন্স মডেল তাঁরা তৈরি করেছিলেন। বিজ্ঞান কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে এইচপিটি-৩২ দীপক বিমান, এনার্জি ড্রাম, ম্যাজিক ওয়াটার ট্যাপের মতো একাধিক নতুন সংযোজন প্রদর্শনীর জন্য যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া তিনটি প্রদর্শনী গ্যালারি সহ একাধিক সায়েন্স মডেল এই কেন্দ্রে করা হয়েছে। তাতে সাইন্স, থ্রি ডি মুভি ও ডিজিটাল প্ল্যানেটোরিয়াম প্রদর্শনী রয়েছে। প্রতিটি প্রদর্শনী কক্ষে ৫০ জন একসঙ্গে বসতে পারেন। কোভিড পরিস্থিতির জেরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে তা কমিয়ে ২৫ জন করা হয়েছিল। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে গড়ে দৈনিক ৫০০ জন ভিজিটার হতো। তবে কোভিডের বিধিনিষেধ মেনে ৫০ শতাংশ ভিজিটারকে কর্তৃপক্ষ গত পাঁচমাস ধরে প্রবেশের অনুমতি দিয়ে আসছিল।
দার্জিলিং জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এখানে করোনা আক্রান্তের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। দৈনিক ১০০ সংক্রামিত হয়ে যাচ্ছে। যার অধিকাংশই শিলিগুড়ির বাসিন্দা। জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট অনুযায়ী গত শনিবার জেলায় ১০১ জন করোনায় আক্রান্ত হন। তাতে শিলিগুড়ি শহরে ৮৪ জন ছিলেন। গত শুক্রবার জেলায় ১৪৩ জন করোনা পজিটিভ হয়েছিলেন।