অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
মালতীপুর বিধানসভা এলাকায় ২৩০টি বুথ রয়েছে। প্রতিটি বুথে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার রুটিন তৈরি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী যাচ্ছেন প্রার্থী। সকালে মালতীপুর ডেলি বাজারে ঢুকলেন। কথা বললেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে। ব্যবসায়ীরা প্রার্থীকে কাছে পেয়ে দাবি জানান, একটি স্থায়ী ডেলি বাজার তৈরি করে দিতে হবে। রাস্তার ধারে আনাজপাতি, মাছ-মাংসের পসরা নিয়ে বেচাকেনা করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে জানান মালতীপুরের কংগ্রেস প্রার্থী আলবেরুনি জুলকারনাইন।
প্রচারের ফাঁকেই বাজার করতে আসা সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে তাঁদের অসন্তোষের কথা বলেন। আলবেরুনি তাঁদের বোঝান, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সাধারণ মানুষের কথা ভাবে না। তারা বড় বড় কোম্পানির জন্য কাজ করে। তাই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে। রাজ্য সরকারও গরিব মানুষের কথা ভাবেনি। তাই এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সংযুক্ত মোর্চাকে ভোট দিতে হবে। তারপর ডেলি বাজার থেকে বেরিয়ে গৌড়হন্ড অঞ্চলের দিকে রওনা দিলেন আলবেরুনি। গৌড়হন্ডের কলোনি পাড়ায় রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে গ্রামে ঢুকলেন। গ্রামের এক বৃদ্ধ জড়িয়ে ধরলেন প্রার্থীকে।
কান্নাভেজা গলায় ওই বৃদ্ধ বললেন, বাবা সাতপুরুষ ধরে আমরা এখানে বসবাস করি। আমাদের এই দেশ ছেড়ে যাতে যেতে না হয়, তার ব্যবস্থা করো বাবা। আমরা এনআরসি আতঙ্কে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বৃদ্ধের কাছে আশীর্বাদ চাইলেন আলবেরুনি। বললেন, আমাদের আশীর্বাদ করুন, জেতান। সংযুক্ত মোর্চার সরকার গঠন হলে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা আগে সুনিশ্চিত করা হবে। এনআরসির নামে কোনও নাগরিককে দেশছাড়া হতে হবে না। এরপর গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে এবারের নির্বাচনের গুরুত্ব তাঁদের বোঝান।
প্রচারে গিয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকার ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের জনবিরোধী নীতি তুলে ধরছেন প্রার্থী। বলছেন, এই দুই সরকারই মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। মানুষকে ভাওতা দিয়েছে। জাতপাতের নামে মানুষকে বিভাজন করছে। এই দুই সরকারের হাত থেকে রেহাই পেতে হলে বিকল্প হল সংযুক্ত মোর্চা। প্রার্থী দুপুরে মধ্যাহ্নভোজন সারেন গৌড়হণ্ড গ্রামেই, এককর্মীর বাড়িতে।
দুপুরের খাওয়াদাওয়ার পর বিকেল পর্যন্ত আবার বাড়ি বাড়ি প্রচার। সন্ধ্যার পরে গ্রামেরই দলীয় কর্মীদের নিয়ে বুথ ভিত্তিক কর্মিসভা। তা চলে রাত পর্যন্ত। নিজস্ব চিত্র