অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
করিম সাহেব বলেন, বুথ দখল, ভোট লুট করে আমি জিততে চাই না। কোনও বুথে যদি গণ্ডগোল হয়, বুথ দখলের অভিযোগ ওঠে, আমি নিজে সেখানে রি-পোল করার আবেদন করব। বুথ দখল করে জেতার ‘অপবাদ’ আমি নিতে পারব না। এতদিন মানুষ আমাকে হৃদয় থেকে ভোট দিয়েছে। আমি মানুষের হৃদয়ের ভোট ও আশীর্বাদে জয়ী হতে চাই। প্রচারে যা সাড়া পাচ্ছি, তাতে আমার বিশ্বাস, এবার সবথেকে বেশি ভোটে লিড পাব। উন্নয়ন এবং এলাকায় শান্তি বজায় রাখা একজন জনপ্রতিনিধির কাজ। আমি এলাকায় উন্নয়নের পাশাপাশি শান্তি বজায় রেখেছি।
বিরোধীরা অবশ্য বলছে, ১০বার বিধায়ক হয়েও এলাকার সার্বিক উন্নয়ন করতে পারেননি করিম সাহেব। এখনও এলাকায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক কাজ বাকি। যদিও তৃণমূল নেতা জাভেদ আখতার বলেন, করিম সাহেবের পরিবার ইসলামপুর মহকুমা শাসকের অফিস, কোর্ট, কলেজ সহ প্রশাসনের একাধিক দপ্তরকে জমি দিয়েছে বলে এখানকার মানুষ বাড়ি থেকে হেঁটে বিডিও অফিস, এসডিও অফিস কিংবা কোর্টে যাওয়া-আসা করতে পারছে। এই অবদান কিছু কম নয়। তাঁর হাত ধরেই এখানে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, আইটিআই, পলিটেকনিক কলেজ হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, করিম সাহেব ইসলামপুরের পাহারাদার। তিনি কখনওই হিংসাকে প্রশ্রয় দেন না। সবসময় শান্তি বজায় রাখার জন্য কাজ করেন। তাঁর এই ভূমিকার কথা এলাকার বয়স্ক থেকে যুবক-যুবতী সকালেই জানেন। গত লোকসভা নির্বাচনে পাটাগোরার একটি বুথ এলাকায় সিপিএমের প্রার্থী মহম্মদ সেলিম দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। করিম সাহেব এই ঘটনার নিন্দা করেছিলেন। দাড়িভিটকাণ্ড নিয়েও নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছিলেন। কোনওভাবেই যাতে এলাকায় অশান্তি না ছড়ায়, সেজন্য তিনি তৎপর ছিলেন।
প্রায় দেড় বছর আগে আগডিমটি এলাকায় বাগানের জমি দখলকে কেন্দ্র দুষ্কৃতীদের গুলিতে এক মহিলার মৃত্যু হয়।