অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
তপসিখাতা বাজারে ট্রাফিক পয়েন্ট না থাকায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। দুর্ঘটনার পর বাজার চত্বরে ট্রাফিক পয়েন্টের দাবিতে তাঁরা সরব হন। স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ সরকার বলেন, তপসিখাতা বাজারে ট্রাফিক পয়েন্ট না থাকায় এখানে হামেশাই দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনা এড়াতে আমরা তপসিখাতা বাজারে ট্রাফিক পয়েন্ট চালুর দাবি জানাচ্ছি। অমিত রায় নামে এক যুবক বলেন, ডাম্পারের চালক ও খালাসির দোষেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আলিপুরদুয়ার থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য বলেন, ডাম্পারের চালককে গ্রেপ্তার করে দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ভোটের কারণে কর্মী কম থাকায় তপসিখাতা বাজারে ট্রাফিক পুলিস দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তপসিখাতা বাজারের পাশে শালবাড়ি গ্রামের ছাত্রী শুভ্রা ও পারুল দুই বান্ধবী। প্রতিদিনের মতো এদিনও তারা সাইকেলে চেপে বীরপাড়া মোড়ে টিউশন পড়তে যাচ্ছিল। একটি সাইকেলেই দু’জন ছিল। তপসিখাতা বাজারে তারা সাইকেল রেখে গাড়িতে করে বীরপাড়া মোড়ে যায়। এদিন তারা যখন সাইকেলের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে সাইকেলের চাকায় হাওয়া দিচ্ছিল, তখনই ডাম্পারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাইকেলের দোকানে ঢুকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় শুভ্রা। গুরুতর জখম হয় পারুল।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সাইকেলের দোকানটির কিছুটা অদূরে রাস্তার পাশে খালি ডাম্পারটি দাঁড়িয়েছিল। ডাম্পারের চালক ও খালাসি তপসিখাতা বাজারে খাওয়াদাওয়া করে। স্থানীয়দের দাবি, ডাম্পারের চালক নিজে গাড়ি না চালিয়ে খালাসিকে গাড়ি চালাতে দিয়েছিল। খালাসি গাড়ি চালানো শুরু করতেই সম্ভবত কোনও কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দোকানে ঢুকে যায়। যে কারণে মেয়েটির মৃত্যু হয় এবং মারাত্মক জখম হয় আরও একজন। এদিকে ঘটনার পর পালাতে গিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। উত্তেজিত জনতা ঘাতক ডাম্পারের চালক ও খালাসিকে ধরে ফেলে তাদের মারধর করে। দুর্ঘটনার পরই উত্তেজিত জনতা তপসিখাতা বাজারে আলিপুরদুয়ার-সোনাপুর ব্যস্ত রাজ্য সড়ক অবরোধ করে। অবরোধের জেরে ওই রাস্তায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে মৃত ছাত্রীর দেহ পড়ে থাকে। পুলিস এসে দেহটি পরে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এদিকে অবরোধের জেরে ঘটনাস্থলের দু’পাশে প্রচুর যানবাহন দাঁড়িয়ে যায়। একঘণ্টা অবরোধ চলার পর পুলিস অবরোধকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। ডাম্পারের চালক ও খালাসিকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে নিয়ে যায়।
সলসলাবাড়ি থেকে ফালাকাটা পর্যন্ত বর্তমানে ইস্ট ওয়েস্ট করিডরের ফোরলেন কাজ চলছে। তারজন্য বালি, পাথরের জোগান দিতে আলিপুরদুয়ার ভায়া সোনাপুর হয়ে ফালাকাটা পর্যন্ত প্রচুর ডাম্পার যাতায়াত করছে। এদিন বিক্ষোভ দেখানো উত্তেজিত জনতা দাবি করে, আলিপুরদুয়ার-সোনাপুরের মতো ব্যস্ত রাজ্য সড়কে বেলাগাম গতিতে ডাম্পারগুলি ছোটে। অথচ পুলিসের তাতে বিন্দুমাত্র হুঁশ নেই। এরফলে হামেশাই ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটছে।