অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
মালদহের চাঁচল থেকে মানিকচক, রতুয়া, মোথাবাড়ি, পুরাতন মালদহ, হবিবপুরে হেভিওয়েট নেতাদের প্রচারে উত্তাপ ছড়ায়। প্রখর রোদ উপেক্ষা করে রাজনৈতিক দলগুলির কর্মী-সমর্থকরা জনসভা, মিটিং মিছিলে অংশ নেন। এদিন পুরাতন মালদহের মুচিয়ায় জনসভা করে তৃণমূল এবং বিজেপিকে একহাত নেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি পেট্রপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি থেকে শুরু করে রাজনৈতিক রেষারেষির বিষয় বক্তব্যে তুলে ধরেন। মোদি ও মমতাকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, বর্তমানে যা অবস্থা তাতে পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম হু হু করে বাড়ছে। একদিকে মোদি তাঁর কেন্দ্রীয় ট্যাক্স বাড়াচ্ছেন। অন্যদিকে ‘দিদি’ রাজ্যের ট্যাক্স বাড়াচ্ছেন। দিদি-মোদি প্রতিযোগিতা করে পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে চলেছেন। যেকারণে দাম নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রচারে এনআরসি নিয়ে সরব হন অধীরবাবু। তিনি বলেন, বাংলার মানুষকে এনআরসি নিয়ে বিভ্রান্ত করছে বিজেপি। অন্যদিকে, এদিন মোথাবাড়ির বিজেপি প্রার্থী শ্যামচাঁদ ঘোষের সমর্থনে জনসভা করেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানে তিনি নিজস্ব ভঙ্গিতে তাঁর ডায়লগ তুলে ধরে কর্মী-সমর্থকদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেন। মোথাবাড়ির বাঙ্গিটোলা হাইস্কুল মাঠে কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক ভিড় উপচে পড়ে। জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মিঠুন বলেন, আমরা সোনার বাংলা গড়ব। সোনার বাংলা গড়তে গেলে বিজেপিকে ভোট দিয়ে জিতিয়ে আনতে হবে। তাহলে ছয়মাসের মধ্যে আমাদের বাংলা ঘুরে দাঁড়াবে। কোনও উস্কানিতে না পড়ে ভোটারদের তিনি নির্ভয়ে বিজেপি প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
কংগ্রেস ও বিজেপির প্রচারের পাশাপাশি তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ বাস্কের সমর্থনে হবিবপুর বিধানসভায় প্রচারে ঝড় তোলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বামনগোলার নালাগোলায় একটি মিছিলে অংশ নেন। পরে জনসভার মাধ্যমে বাম ও বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, বিজেপি সহ অশুভ শক্তি যতই চেষ্টা করুক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দমানো যাবে না। রাজ্যে তৃণমূল সরকার ফের ক্ষমতায় আসছে। জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নুর বলেন, মালদহের প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় জমজমাট প্রচার হয়েছে। আগামী দিনে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা নিয়ে আমরা জোরকদমে প্রস্তুতি চালাচ্ছি।
অন্যদিকে, এদিন ইংলিশবাজারে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী এবং বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী প্রচারে ঝড় তোলেন। তাঁরা কেউ বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবার কেউ বা ছোট মিছিল করে প্রচার করেন। প্রার্থীরা জানান, রবিবাসরীয় প্রচারে ভালো সাড়া পড়েছে। এদিকে, এদিন জেলার অন্যান্য বিধানসভা এলাকা মালদহ, গাজোল, মানিকচক, মোথাবাড়িতেও বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা প্রচারে ঝড় তোলেন। এদিন মানিকচকে তৃণমূল প্রার্থী সাবিত্রী মিত্র জোরদার প্রচার করেন। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীও বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন।