বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল বলেন, কালীপুজোর পর থেকে বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে ময়দানে ঝাঁপানো হবে। তৃণমূলের সন্ত্রাস, উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে অনিয়ম, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি প্রভৃতিকে ইস্যু করে কর্মসূচিগুলি নেওয়া হবে। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকারের সামাজিক প্রকল্পের কথাও প্রচারে তুলে ধরা হবে। এজন্য একগুচ্ছ কর্মসূচি তৈরি করা হয়েছে। বিজয়া সম্মিলনীর সভায় দলের কার্যকর্তাদের সঙ্গে ওই কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করা হবে। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার শিলিগুড়ি সফরের পর কিছুটা উদ্দীপনা তৈরি হলেও তা ধরে রাখতে গিয়েই হিমশিম খাচ্ছে বিজেপি শিবির। দলীয় সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে দলের প্রকাশ্য কর্মসূচি না থাকায় সংগঠনের অন্দরে কার্যত মরিচা ধরেছে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে কিছু কর্মসূচি পালন করা হলেও দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে জড়তা এখনও কাটেনি। সর্বভারতীয় সভাপতির সফরের পর দল কিছুটা উজ্জীবিত হলেও পুজোর মধ্যে তা কার্যত ঝিমিয়ে পড়েছে। কারণ, ধারাবাহিক কর্মসূচির অভাব। তাই কালীপুজোর পর তারা ময়দানে ঝাঁপাবে। এজন্য ইতিমধ্যে নীল নকশা প্রস্তুত করা হয়েছে। দলের পাশাপাশি, যুব, মহিলা, কৃষক সংগঠনকে দিয়ে গ্রামে গ্রামে মিছিল, পাড়া বৈঠক, পথসভা, মণ্ডল কমিটির মিটিং প্রভৃতির সূচনা করা হবে। দলের জেলা কার্যালয়ে বিজয়া সম্মিলনীতে এ ব্যাপারে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে। তাতে জেলা কমিটির পাশাপাশি সমস্ত মণ্ডল কমিটির কার্যকর্তারা হাজির থাকবেন। বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সাধরণ সম্পাদক আনন্দময় বর্মন অবশ্য বলেন, কোভিড পরিস্থিতির জেরে প্রকাশ্য কর্মসূচি সেভাবে না থাকলেও দলীয় কর্মসূচি বন্ধ হয়নি। তবে, কালীপুজোর পর তেড়েফুঁড়ে ময়দানে নামব। শুধু তাই নয়, বিধানসভা কেন্দ্র ভিত্তিক নির্বাচনী কমিটি গঠনের কাজও শুরু হয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া ও ফাঁসিদেওয়া বিধানসভা কেন্দ্রের ১৫ জনের নির্বাচনী কমিটি তৈরির কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই তা প্রকাশ করা হবে। ইতিমধ্যে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে প্রসেনজিৎ পালকে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রটি শিলিগুড়ি শহরের একাংশ ও জলপাইগুড়ি জেলার এলাকা নিয়ে গঠিত। বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি বলেন, কোথায় কী ধরনের প্রচার করা দরকার, ঝান্ডা, ব্যানার, ফ্লেক্স লাগানো প্রভৃতি বিষয় তদারকি করবে সংশ্লিষ্ট কমিটি। দলের রাজ্য কমিটির নির্দেশে তা গঠনের কাজ চলছে।