বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ চৌহান বলেন, অন্যন্য জেলায় এরিয়ার বিল দেওয়া হলেও এই জেলায় এখনও পর্যন্ত তা দেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে আমরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষাদপ্তরে বহুবার জানিয়েছি। বেতনের স্কেল পরিবর্তনের কারণে এবার থেকে অনেক শিক্ষক আর পুজোর বোনাস পাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি, দ্রুত আমাদের এরিয়ার বিল মিটিয়ে দেওয়া হোক। প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছে যে এব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি, শীঘ্রই জেলার শিক্ষকরা এরিয়ার পেয়ে যাবেন। নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক কৃষ্ণেন্দেু রায় চৌধুরী বলেন, এরিয়ার বিলের জন্য আমরা প্রশাসনকে বহুবার জানিয়েছি। জেলা শিক্ষাদপ্তর থেকে জানিয়েছে, অর্থদপ্তর থেকে এই টাকা মঞ্জুর করা নিয়ে সমস্যা ছিল। তাই দেওয়া যায়নি।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) দীপক ভক্ত বলেন, প্রতিটি সার্কেল থেকে এরিয়ার বিষয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সার্কেলগুলি থেকে রিপোর্ট আসতে অনেক দেরি হয়েছে। আমাদের অফিসে বেতন বৃদ্ধির আগের ও পরের মাসের রেকর্ড ছিল। তা দেখে আমরা একটা এস্টিমেট করে বিকাশ ভবনে পাঠিয়েছি। প্রায় দু’কোটি টাকার সেই এস্টিমেট সেপ্টেম্বরে কলকাতায় পাঠানো হয়েছিল। আশা করছি, সামনের সপ্তাহ থেকে টাকা সংক্রান্ত সমস্যা মিটিয়ে দিতে পারব।
শিক্ষকরা জানিয়েছেন, বেতন বৃদ্ধি হওয়ার পরেও গত বছরের আগস্ট মাসে পুরনো হিসেবে বেতন দেওয়া হয়েছে। তাই বাড়তি যে টাকা পাওনা হয়, সেটাই এরিয়ার বিল। সকলের একই পরিমাণ টাকা বেতন বৃদ্ধি হয়নি। কারও দু’হাজার, কারও বা আড়াই হাজার টাকা বেতন বেড়েছে। ফলে প্রত্যেকের এরিয়ার আলাদা আলাদা। প্রতিটি সার্কেলেই সেই এলাকার সমস্ত শিক্ষকের ডেটা জমা আছে। কার বেতন কত ছিল, বৃদ্ধি হওয়ার পরে নতুন বেতন কত হয়েছে, তাঁর কত টাকা বকেয়া আছে—সব তথ্যই থাকার কথা। মোট শিক্ষক ও মোট বকেয়ার পরিমাণের হিসেব নিয়ে রিপোর্ট সময় মতো জেলা শিক্ষাদপ্তরে পাঠালে এই টাকা পেতে এক বছর দেরি হতো না।