বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
ওই পুজোয় লক্ষ্মীদেবীর সঙ্গে কার্তিক ও গণেশকেও নতুন বস্ত্র দেওয়ার রীতি রয়েছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুজোয় দেওয়া ভোগের পরিমাণ অনেকটাই কমেছে। আগরওয়াল পরিবারের ওই পুজোয় আগে দেবীর কাছে সন্দেশ, লাড্ডু সহ যাবতীয় মিষ্টি দেওয়া হতো আড়াই কেজি করে। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে খরচে রাশ টানতে এখন আর সেই পরিমাণ মিষ্টি দেওয়া হয় না। সেসব ভোগের পরিমাণ অর্ধেকেরও বেশি কমে গিয়েছে। তবুও সাধ্য অনুযায়ী বাড়ির মহিলারা এখনও এলাকার বেশ কিছু বাড়িতে এই প্রসাদ বণ্টন করেন। আগে এই প্রসাদ বিলি করা হতো ঢালাওভাবে। তা আর এখন সম্ভব হয় না। এই পুজো শহরের খুব পুরোনো পুজো বলে এলাকার বাসিন্দারা আজও আগরওয়াল বাড়িতে এসে পুজোয় যোগ দেন। প্রতিমা দর্শনের পাশাপাশি প্রসাদও নিয়ে যান। পুজোর পরম্পরা ধরে রাখতে পেরে আগরওয়াল পরিবারের সকল সদস্য খুশি।
পুরাতন মালদহে আগরওয়াল বাড়ির বড় ছেলে দ্বিজেন্দ্রনাথ আগরওয়াল বলেন, ৮১ বছরের পুরনো পুজো। স্বাধীনতারও আগে যখন এই পুজো শুরু হয়েছিল, তখন আমার বাবার বয়স ছিল ১৬ বছর। তখন তিনি ঠাকুমার অনুমতি নিয়ে নিজের উদ্যোগেই পুরাতন মালদহে এই পুজোর প্ৰচলন করেন। প্রথম থেকেই লক্ষ্মীপুজোর দিনে বাড়িতে একইসঙ্গে কার্তিক ও গণেশেরও পুজো হয়ে আসছে। বাবার নির্দেশ ছিল, এই পুজো যেন কোনওদিন বন্ধ না হয়। তাই কোনও বছরই এই পুজো বাদ যায়নি। আমাদের বাড়িতে আরও একবার লক্ষ্মীপুজো হয়। অগ্রহায়ণ মাসের পূর্ণিমাতেও পুজো করা হবে। তবে দুৰ্গাপুজোর পরে পরে যে লক্ষ্মীপুজোয়, তাতে অনেক নিয়মনিষ্ঠা পালন করতে হয়। আগে দেখেছি আড়াই কেজির লাড্ডু, সন্দেশ দেওয়া হতো। এখন দ্রব্যমূল্যের জন্য উপকরণ একই দেওয়া হয়, তবে পরিমাণ কমে গিয়েছে। আমাদের পুজোয় বাজটে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে রাখতে হয়। অনেকে প্রতিবেশী পুজোর দিন আসেন। আগরওয়াল বাড়ির প্রবীণ সদস্যা সুমিতা আগরওয়াল বলেন, আমাদের পরিবার বড়। সবাই মিলেমিশে কাজ করি। তাই পুজোর জোগাড় নিয়ে কোনও সমস্যা হয় না। দেবীর সামনে পুজোর দিন সাতটি পদ্মফুল দেওয়া হয়।