প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
এদিকে অনলাইন ক্লাস নিয়ে ছাত্রছাত্রী এবং অধ্যাপকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গিয়েছে। অনেকে বিষয়টিকে স্বাগত জানালেও বাস্তবে তা কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে কয়েকজন সংশয় প্রকাশ করেছেন।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। লকডাউন না ওঠা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় খোলা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনা করা সম্ভব নয়। সেই কারণে আমরা অনলাইনে পঠনপাঠন চালু করতে চলেছি। জুম ও স্কাইপি অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস করাবেন। তার আগে ইমেলের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের স্টাডি মেটেরিয়াল পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তারজন্য ইমেলে ছাত্রছাত্রী ও অধ্যাপকদের গ্রুপ তৈরি করা হচ্ছে। অনলাইনে ক্লাস করার আগে ছাত্রছাত্রীদের নিয়মমতো রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারফলে একটি পাশওয়ার্ড পাওয়া যাবে। তা দিয়ে অনলাইন পঠনপাঠনে অংশ নেওয়া যাবে। আমি নিজে আমার বিষয়ে (ফিজিওলজি) ক্লাস নিতে শুরু করেছি। বাকি অধ্যাপকদের জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কলেজগুলিকেও অনলাইন পঠনপাঠন চালু করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
ভুগোলের অধ্যাপক অরিজিৎ দাস বলেন, সহকারী রেজিস্ট্রারের নির্দেশ পেয়েছি। আমাদের বিভাগে ছাত্র ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। ইতিমধ্যে আমি অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার কাজ শুরুও করেছি। ৪০ জনের মধ্যে ৩০ জন ছাত্রছাত্রী ক্লাসে অংশ নিয়েছে।
ইংরাজির অধ্যাপক সমীতেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমিও ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনলাইন ক্লাস নিচ্ছি। দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ক্লাস চলছে। হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে স্টাডি মেটিরিয়াল পাঠাচ্ছি।
বাংলার অধ্যাপক তথা কলা বিভাগের ডিন বিকাশ রায় বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশিকার ব্যাপারে শুনেছি। এব্যাপারে রাজ্য সরকারের কী নির্দেশ আছে তা জানি না। তবে অনেক বিভাগে এখনও পরীক্ষা হয়নি। ফল প্রকাশও ঝুলে রয়েছে। ফলে ছাত্র ভর্তির প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। সেক্ষেত্রে কী হবে তা জানি না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্র বলেন, বর্তমানে প্রায় সব ছাত্রছাত্রীই বাড়িতে রয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় ইন্টারনেটের স্পিড কম। সেখান থেকে অনলাইনে ক্লাস করতে অসুবিধা হবে। এভাবে বাকিদের পঠনপাঠন এগিয়ে গেলে সেইসব ছাত্রছাত্রীরা পিছিয়ে পড়বে।