কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
সিপিএমের ইসলামপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক বিকাশ দাস বলেন, কংগ্রেসের ইসলামপুরের নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের একটি বৈঠক হয়েছে। তাতে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোন দল কয়টি আসনে প্রার্থী দেবে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি, ইসলামপুর শহরের ১৭ টি আসনের মধ্যে আটটিতে সিপিএম ও আটটিতে কংগ্রেস প্রার্থী দিক। একটি আসন দেওয়া হোক আরএসপিকে।
কংগ্রেসের কাউন্সিলার তথা ইসলামপুর ব্লক কমিটির সভাপতি মুজাফ্ফর হুসেন বলেন, আমরা জোট করে পুরসভা নির্বাচন লড়ব। এটা চূড়ান্ত হয়েছে। কিন্তু কোন আসনে কারা প্রার্থী দেবে, কিংবা কোন দল কত আসনে প্রার্থী দেবে, এই বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধন্ত আমরা জানাইনি। সিপিএম নেতৃত্ব ৮-৮-১’র প্রস্তাব দিয়েছে। গত পুরসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ১০ টি আসনে জয়ী হয়ে পুরসভার দখল নিয়েছিল। পরে দলবদলের ফলে শাসক দলের দখলে চলে গিয়েছে পুরসভা। কাউন্সিলারেরা দল বদল করেছেন, কিন্তু কংগ্রেসের ভোটার ও সমর্থক অটুট রয়েছে। সেবার তো সিপিএমের কোনও কাউন্সিলার ছিল না। ফলে আমরা শক্তিশালী অবস্থায় আছি। এমতাবস্থায় বামেরা আমাদের সমান সংখ্যক আসনের প্রস্তাব দিয়েছে। বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, পুরসভা নির্বাচনে বাম ও কংগ্রেস আসন সমঝোতা করছে, তা নিশ্চিত। কিন্তু সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জ উপনির্বাচনে কংগ্রেস ও সিপিএম জোট করে লড়াই করেও জেতা আসনে জামানত জব্দ হয়েছিল তাদের। কার্যত তাদের জোট ফ্লপ হয়েছে। এবার আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে দুই দল আবার জোট করে ভোট যুদ্ধে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দলবদলের হাওয়াতে কংগ্রেস ও বামেদের এককভাবে লড়াই করার ক্ষমতা শেষ হয়ে গিয়েছে। আসন সমঝোতা না করলে তাদের বিকল্প কিছু নেই।
ইসলামপুর পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের মে মাসে বর্তমান পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হবে। গত নির্বাচনে ১৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০টি ওয়ার্ডে কংগ্রেসের কাউন্সিলার জয়ী হয়। তিনটি করে আসন পেয়েছিল বিজেপি ও তৃণমূল। একটি পেয়েছিল নির্দল। সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে কংগ্রেস বোর্ড গঠন করে। চেয়ারম্যান হন কানাইয়ালাল আগরওয়াল। পরে কানায়াইবাবু তাঁর অনুগামী কাউন্সিলারদের নিয়ে দলবদল করেন।