কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
একে তো নাম উল্লেখ করে আমন্ত্রণপত্র পাঠানোর পরিবর্তে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কাউন্সিলারদের সভায় আসার কথা জানানোয় কাউন্সিলারদের একাংশ রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তার উপর বাজেট নিয়ে নীহারবাবুকে চেপে ধরার সুযোগ হাতছাড়া হওয়াটা বিরোধী কাউন্সিলাররা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। ফলে এদিনের সভার দিকে সকলেই তাকিয়ে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ডিসেম্বর পুরসভার তরফে বোর্ড মিটিং ডাকা হয়। কাউন্সিলারদের হই হট্টগোলের জেরে ওই বৈঠক কার্যত পণ্ড হয়ে যায়। যদিও রাজ্য পুর দপ্তরের অনুমোদনের ভিত্তিতে ওই বৈঠকের রেজ্যুলেশনে করা গিয়েছে বলে চেয়ারম্যান দাবি করেন। ফলে বৈঠকের বৈধতা নিয়ে আর কোনও প্রশ্ন নেই বলে নীহারবাবু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। রেজ্যুলেশনে পুর আইনের নির্দিষ্ট ধারার কথাও উল্লেখ রয়েছে বলেও তিনি জানান। নীহারবাবু বলেন, বোর্ড মিটিংয়ে মাত্র নয় জন কাউন্সিলার আপত্তি জানিয়েছিলেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলার বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সম্মতি জানান। ফলে ওই বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে, একথা বলা যাবে না। তা পুরোপুরি সফল হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর মার্চ মাসের পর পুরসভার বাজেট বৈঠক হয়। বাজেটে ধরা আয়-ব্যয়ের কমা-বাড়া নিয়ে ডিসেম্বর মাসে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করতে হয়। তাতে প্রকৃত আয়-ব্যয়ের মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়া যায়। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের ক্ষেত্রে গত ডিসেম্বর মাসে অডিট চলায় সংশোধিত বাজেট পেশ করা যায়নি। তবে রাজ্য পুর দপ্তর আমাদের ওই বাজেট পাশ করিয়ে দিয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে কাউন্সিলারদের বৈঠকে ডেকে তা পেশ করার জন্যও পুর দপ্তরের কর্তারা নির্দেশ দিয়েছেন। আজ, সেই কারণেই বৈঠক ডাকা হবে। এখানে কারও ওজর-আপত্তি খাটবে না।
সিপিএম কাউন্সিলার দুলালনন্দন চাকী বলেন, গত ডিসেম্বরের বৈঠকে আমরা আপত্তি জানিয়ে সই করেছিলাম। ওই বৈঠক কীভাবে বৈধতা পেল তা মাথায় ঢুকছে না। এনিয়ে চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করা হবে। এব্যাপারে সদুত্তর না পেলে বিষয়টি নিয়ে আমরা পুরভোটের আগে মানুষের কাছে যাব। এভাবে কাউন্সিলারদের অন্ধকারে রেখে কাজ করতে দেওয়া যাবে না। সারাবছর আমাদের পাত্তা দেওয়া হয় না। বোর্ড মিটিংও নিয়মিত ডাকা হয় না। তারপর কোনও বৈঠকে আমাদের দাবিদাওয়া বা আপত্তিও যদি গ্রাহ্য করা না হয় তবে কীসের জন্য আমরা নির্বাচিত হয়েছি? ওয়ার্ডের মানুষের ভলোমন্দ দেখার দায়িত্ব কাউন্সিলারদের। তাঁদের গুরুত্বহীন করে রাখাটা সংবিধানের পরিপন্থী।
এক তৃণমূল কাউন্সিলার বলেন, এভাবে পুরদপ্তরের মাধ্যমে অনুমোদন করিয়ে নেওয়াটা কতটা আইনসঙ্গত তা চেয়ারম্যানের কাছে আমরা জানতে চাইব। তাঁকে এব্যাপারে ছেড়ে কথা বলা হবে না। আমরা বিষয়টি নিয়ে সরব হব।