কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুরে বিজেপি ছেড়ে একের পর এক নেতা-কর্মী তৃণমূলে যোগদান করায় দলের সংগঠন ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। অন্যদিকে, কমিটি পরিবর্তন করতেই নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৈরী হয়েছে। সামনে পুরসভা ও বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে সংগঠনের এহেন ভরাডুবিতে বেশ চাপে পড়েছে গেরুয়া শিবির। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে চলেছে শাসক দল। এই অবস্থায় সামনের পুরভোট ও বিধানসভা নির্বাচনের আগে কিভাবে দলের সংগঠনকে আরও মজমুত করা যায় এবং দলত্যাগের হিড়িক কমানো যায়, সেই লক্ষ্যেই ওই জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
বিজেপির জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন বলেন, আজ, শুক্রবার জেলা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। মূলত সামনের দুইটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই বৈঠক। দলের আগামী কর্মসূচি কি কি নেওয়া হবে, দলের সংগঠনকে কিভাবে আরও শক্তিশালী করা হবে, তা নিয়ে এই বৈঠক। দলে ছেড়ে অনেকে অন্য দলে চলে যাচ্ছেন। কিভাবে এই ভাঙন থামানো যায়, সেসব নিয়েও আলোচনা করা হবে।
লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাটে জয়লাভের পরে বিজেপির সংগঠন জেলায় আরও শক্তিশালী হবে বলেই ভেবেছিল ওয়াকিবহাল মহল। কিন্তু ঘটেছে তার উল্টোটাই। সংগঠন ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিপ্লব মিত্রের হাত ধরে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ একাধিক সদস্য পুরানো ফিরেছেন। তাদের ধরে রাখার কোনও চেষ্টা বিজেপির তরফে করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, বিপ্লব মিত্রেরও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করার জল্পনা তৈরী হয়েছে। এরই মধ্যে জেলা বিজেপির একাধিক পদাধিকারী তৃণমূলে যোগদান করেছেন। গ্রামে গ্রামে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক পড়েছে। দলের এই ভাঙন রুখতে কার্যত ব্যর্থ গেরুয়া নেতৃত্ব। এরই মধ্যে নতুন কমিটি ঘোষণা হতেই বিজেপির অন্দরে নব্য ও পুরনোদের মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব তৈরী হয়েছে। পুরনোদের একাংশ কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে দলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, দলের একাংশ নিজেদের ইচ্ছে মতো দল পরিচালনা করছে। যোগ্য ব্যক্তিদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। অনেকে এই নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ করেছে। এই অবস্থায় দলের সংগঠন যে দুর্বল হয়ে পড়েছে, তা নিয়ে দলের অন্দরে মাথাব্যাথা বেড়েছে। নতুন জেলা কমিটি গঠিত হওয়ার পরে এই ভাঙনের মোকাবিলা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ গেরুয়া শিবির। বিজেপির মধ্যে চলতে থাকা এই গোষ্ঠীকোন্দলকে কাজে লাগিয়ে ফায়দা তুলতে শাসক দল ময়দানে নেমে পড়েছে। গোপনে বিজেপির নেতাদের অনেকেই তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছে বলে ঘাসফুল শিবিরের দাবি। তাই জরুরি ভিত্তিতে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে বিজেপির তরফে।