কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরে ভোটের ময়দানে অনেকদিন আগেই নেমে পড়েছে তৃণমূল। তারা শহরের ক্ষমতা বামফ্রন্টের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে ইতিমধ্যেই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গা ঘামাতে শুরু করেছে। পাড়া বৈঠক, কর্মিসভা এবং জনসংযোগে জোর দিয়েছে। ভোট প্রচারের জন্য দেওয়াল দখল অভিযানেও নেমেছে। কিন্তু প্রার্থী তালিকা তৈরি নিয়ে ঘাসফুল শিবিরের নেতারা কার্যত হিমশিম খাচ্ছেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের ৪৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে গতবার তৃণমূলের দখলে আসে ১৭টি। এবার আসন সংরক্ষণের জেরে দলের কয়েকজন কাউন্সিলার তাঁদের নিজেদের আসনে দাঁড়াতে পারছেন না। সেগুলি সহ প্রায় সব আসনেই তৃণমূলের টিকিটে অনেকেই প্রার্থী হতে চাইছেন। সেই ওয়ার্ডগুলির মধ্যে ১, ৫, ৬, ১০, ১৫, ২০, ২৩, ৩৬, ৩৭, ৪০, ৪১ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলির দাবিদারদের কেউ ওয়ার্ড কমিটি, আবার কেউ টাউন কমিটি নেতাদেরকে ধরেছেন। কেউ কেউ আবার সরাসরি জেলা কমিটির নেতাদের কাছে তদ্বির করছেন। সবমিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, ওয়ার্ড পিছু টিকিটের দাবিদারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার থেকে সাতজন। প্রাথমিক হিসেব অনুসারে ৪৭টি ওয়ার্ডে প্রার্থী পদের দাবিদারের তালিকায় প্রায় ২৫০ জনের নাম উঠে এসেছে। যাঁদের মধ্যে অনেকে আপাত নিরপেক্ষ। পেশায় শিক্ষক কিংবা ব্যবসায়ী। কেউ আবার গৃহবধূ। কেউ কেউ ক্লাব সংগঠনের মাথা। এরবাইরে দলের পুরনো ও বর্তমান নেতার নামও আছে। সংশ্লিষ্ট তালিকা থেকে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করাই মুশকিল হয়েছে।
শিলিগুড়ি শহরে তৃণমূলের তিনটি টাউন কমিটি আছে। সংশ্লিষ্ট কমিটিগুলির নেতাদের একাংশ বলেন, বর্তমান কাউন্সিলারদের ওয়ার্ডে তেমন দাবিদার নেই। কিন্তু বাকি ওয়ার্ডগুলিতে একাধিক দাবিদার রয়েছেন। অনেকে আবার নতুন মুখের দাবি তুলেছেন। এখন দল রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে। দলের শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে। তাই অনেই প্রার্থী হতে চাইছেন। এখানে নেতিবাচক কিছু নেই। এটা দলের পক্ষে ভালো।
তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার অবশ্য বলেন, পুরভোটের প্রার্থী তালিকা দলের রাজ্য কমিটি ঠিক করবে। কাজেই বিষয়টি নিয়ে এই মুহূর্তে এখান থেকে কিছু বলার নেই।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলার সত্যজিৎ অধিকারীকে ফের টিকিট দেওয়ার দাবিতে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব এবং তৃণমূলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকারের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। ভোটের দিন যত এগবে তৃণমূলের প্রার্থী পদের দাবিতে এমন ঘটনা আরও ঘটবে বলে রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, তৃণমূল রেজিমেন্ট পার্টি নয়। দলে নিয়ন্ত্রণ নেই বললেই চলে। এই অবস্থায় দলের একাংশ পুরভোটের টিকিটের দাবিতে ইঁদুর দৌড়ে নেমেছে। এরজেরেই দলের কোন্দল মারাত্মক আকার নিতে পারে। এর ফায়দা তুলতে পারে বিরোধীরা। যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলেন, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা আমার কাছে এলাকার সমস্যা নিয়ে দাবি জানাতে এসেছিলেন। এরবাইরে তাঁরা অন্য কোনও দাবি জানাননি। তবে দলে দ্বন্দ্ব বা বিরোধ নেই। পুরভোটের ময়দানে কোনও সমস্যা হবে না।