কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
তুফানগঞ্জ পুরসভায় ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পুরবোর্ড এখনও পর্যন্ত একাংশ বাসিন্দাকে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য জমির পাট্টার ব্যবস্থা করে দিতে পারেনি। বিরোধীদের বক্তব্য, পুরবোর্ড কোনও পদক্ষেপই করেনি। যার ফলে এখনও অনেক পরিবার খাস জমিতে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে।
যদিও তুফানগঞ্জ পুরসভার চেয়রম্যান অনন্তকুমার বর্মা বলেন, ভূমিহীন পরিবারগুলির হাতে জমির পাট্টা তুলে দেওয়ার জন্য আমরা পদক্ষেপ করেছি। তৃণমূলের তুফানগঞ্জ টাউন ব্লক কমিটির আহ্বায়ক শিবপদ পাল বলেন, পাট্টা দেওয়ার জন্য সার্ভে করে কাগজপত্র নবান্নে পাঠানো আছে। স্থানীয় বাসিন্দা সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তমসের আলি বলেন, আমরাই এরাজ্যের মধ্যে প্রথম তুফানগঞ্জ পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বসবাসকারী ২০৩টি পরিবারের হাতে জমির পাট্টা তুলে দিয়েছিলাম। আরও পাট্টা দেওয়ার জন্য সার্ভের কাজও শেষ করে ফেলেছিলাম। তারপর পুরভোট চলে আসে। আমাদের হাত থেকে পুরবোর্ডের ক্ষমতা চলে যাবার পর এই কাজ আর এগয়নি।
তুফানগঞ্জ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সিপিএমের সুভাষচন্দ্র ভাওয়াল বলেন, ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত বর্তমান পুরবোর্ড জমির পাট্টা দিয়েছে এই ধরনের কোনও খবর আমার কাছে নেই। পুরভোটের আগে আমরা ওয়ার্ডবাসীর কাছে বিষয়টি তুলে ধরব। বিজেপির তুফানগঞ্জ শহর মণ্ডল কমিটির সভাপতি রিপন পাল বলেন, আমরা পুরবোর্ডের ক্ষমতায় এলে সবার আগে পাট্টা দেওয়ার ব্যবস্থা করব। বিষয়টিকে তুলে ধরে আমরা ইতিমধ্যেই পুরসভা নির্বাচনের আগে প্রচারের কাজে নেমে পড়েছি।
তুফানগঞ্জ পুরসভার ওয়ার্ডগুলিতে খাসজমির উপর একাংশ পরিবার বসবাস করছে। তাদেরকে শুধুমাত্র হোল্ডিং নম্বর দেওয়া হয়েছে। পাট্টার জন্য সংশ্লিষ্ট বাসিন্দারা নিয়ম মেনে পুরসভায় আবেদনও করেছেন। কিন্তু এখনও পাট্টার ব্যবস্থা হয়নি। দরিদ্র পরিবারগুলি হাউসিং ফর অল প্রকল্পের ঘর সহ সরকারি অন্যান্য সুবিধাগুলিও পাচ্ছে না। পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের লম্বাপাড়া রামকৃষ্ণ সরণির দরিদ্র বর্মন পরিবার এখনও জমির পাট্টা পায়নি। ওই পরিবারের বড়ভাই ধনেশ্বর বর্মন বলেন, আমি ভাঙাচোরা ছাপড়া ঘরে পরিবার নিয়ে বাস করছি। আবেদন করেও এখনও পর্যন্ত আমি জমির পাট্টা পাইনি। তাই সরকারি প্রকল্পের ঘরও পাইনি। অন্যান্য সরকারি সুবিধাগুলিও পাচ্ছি না।