কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
এদিনের সভায় দিলীপবাবু বলেন, উদ্বাস্তুদের যদি নাগরিকত্ব দেওয়া হয় তাহলে আপনাদের কোনও সমস্যা আছে কি? আমাদের সমস্যা নেই। দিদিমনির সমস্যা কেন? রবিবাবুর সমস্যা কেন? সোমেনবাবু, সুজনবাবু, বিমানবাবুদের সমস্যা কেন? সমস্যা অন্য জায়গায়। ভোটব্যাঙ্ক। এই উদ্বাস্তুদের এতকাল ধরে ভোটার বানিয়ে রাখা হয়েছে। দুই-তিন প্রজন্ম ধরে এঁরা এখানে আছেন। কিন্তু তাঁরা এখানকার নাগরিক নন, বাংলাদেশের নাগরিক নন, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের নাগরিক নন। তাঁদের আমরা নাগরিকত্ব দিয়েছি। এতদিন তাদের উদ্বাস্তু করে রাখা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, শরণার্থীদের নাগরিকত্বে যারা বাধা দিচ্ছে তাদের চিনে রাখুন। এরা ভোটাধিকার দিয়েছিল। নাগরিকত্ব দেয়নি। খালি ভোট নিয়ে সরকার চালিয়েছে তিনটি দল— কংগ্রেস, সিপিএম ও তৃণমূল।
তৃণমূল নেতা তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের নাম নিয়ে তাঁকে আক্রমণ করে দিলীপবাবু বলেন, এই জেলায় একজন খুব লম্বা নেতা আছেন। এখন শুনলাম ছোট হয়ে গেছে চেহারাটা। আমি ভেবেছিলাম দেখা হয়ে যাবে কোথাও। ধন্যবাদ জানাব। বলব আপনারা লড়াই করে আমাদের জিতিয়েছেন। শুনলাম শরীর খারাপ। ভগবান করে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন। পরের বার যখন মিছিল বের হবে, তখন যেন উনি ছাদ থেকে দাঁড়িয়ে পুষ্পবৃষ্টি করেন আমাদের মিছিলে। আর কিছু করার থাকবে না। যে দু-চার জন তৃণমূল ছিল সেসব বিজেপিতে চলে এসেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গ দিলীপবাবু বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমি দেখেছি হিংসা। নমিনেশন করতে দেয়নি। ভোট করতে দেয়নি। আমাদের এজেন্টকে রবিবাবু নিজে থাপ্পড় মেরেছিলেন। তার যোগ্য জবাব আপনারা দিয়েছেন।
এদিন কোচবিহারে পৌঁছে দিলীপবাবু প্রথমেই দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তীর ডাওয়াগুড়ি এলাকার কলের পাড় গ্রামের বাড়িতে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করেন। সেখান থেকে তুফানগঞ্জে যান। সেখানে কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে অভিনন্দন যাত্রা বের হয়। কয়েক হাজার মানুষ সেই মিছিলে শামিল হয়। দিলীপবাবুকে দেখতে রাস্তায় ভিড়ও হয়েছিল। এরপর সেই মিছিল প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে দোল মেলার মাঠে পৌঁছয়। সেখানে জনসভায় বক্তৃতা দেন তিনি। এদিনের জনসভায় দিলীপবাবুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য নিশীথ প্রামাণিক, বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা রায় সহ অন্যান্যরা।