উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক(উন্নয়ন) অশোককুমার মোদক বলেন, মঙ্গলবার মালদহে মুখ্যমন্ত্রী আসছেন। তাঁর প্রাথমিক সফরসূচি নিয়েই আমরা সব রকম প্রস্তুতি নিচ্ছি।
জেলার ডেপুটি পুলিস সুপার (ট্রাফিক এবং আইন-শৃঙ্খলা) শুভতোষ সরকার বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত শর্মা বলেন, ১৯ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহে আসছেন। তাঁর সফর ঘিরে আমরা দলীয়ভাবে প্রস্তুত রয়েছি। সফরসূচি অনুযায়ী মালদহে এসে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেবেন। তবে সেই প্রশাসনিক বৈঠক ছাড়াও দলীয় বৈঠক হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জেলার সার্বিক উন্নয়নে কিছু প্রস্তাব রাখব।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেলিকপ্টার করে পুরাতন মালদহের শক্তি সংঘ তাঁতিপাড়া ময়দানে মঙ্গলবার বিকেল ৪টা নাগাদ নামবেন। তার পাশেই রয়েছে মহানন্দা ভবন। সেখানেই তিনি উঠবেন। সেখানে খানিকক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর দলীয় বৈঠকে বসতে পারেন তিনি। পরে মুখ্যমন্ত্রী সদরঘাট হয়ে সেতু মোড় দিয়ে মালদহ কলেজ অডিটোরিয়ামে পৌঁছবেন। সেখানে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেবেন। সেখান থেকে আবার মহানন্দা ভবনে ফিরে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে রাত্রিবাসের পর সকালে মালদহ ছেড়ে রওনা দেবেন।
এদিন দুপুর থেকে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয় মুখ্যমন্ত্রীর সফর নিয়ে। তবে তার আগে মুখ্যমন্ত্রী যেখানে উঠবেন সেই জায়গার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। মহানন্দা ভবনে প্রশাসনিক বৈঠকে বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সমস্ত বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর বিশেষ করে জোর দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী কোথায় থাকবেন, কোন রুট দিয়ে যাবেন, তার সুবিধা-অসুবিধা সবকিছু নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসাবে ৩৯জন প্রধান সচিব বা যুগ্ম সচিব স্তরের আধিকারিকরা সোমবার সন্ধ্যার মধ্যেই মালদহে পৌঁছে যাবেন। পুরাতন মালদহের নারায়ণপুর ও ইংলিশবাজারের আইটিআই মোড়ের কাছে দু’টি হোটেলে থাকবেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মালদহে আসবেন জানার পরই জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের শনি ও রবিবারের ছুটি বাতিল হয়ে গিয়েছে। তাঁর সফরের নিরাপত্তা সহ একাধিক প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতা থেকে ফিরেই জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন খোদ জেলাশাসক। এদিন আবার বৈঠক হয়। সফরের নিরাপত্তা ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি প্রশাসনের কাজকর্ম সংক্রান্ত তথ্য ও নথিও গুছিয়ে রাখছেন আধিকারিকরা। যে কোনও প্রশাসনিক বৈঠকে সব কিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানতে চাওয়া মুখ্যমন্ত্রীর অভ্যাস। তাঁর কোনও প্রশ্নের ঠিকঠাক জবাব দিতে না পারলে অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়তে হতে পারে প্রশাসনের কর্তাদের।