উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ১৮ নভেম্বর কোচবিহারে আসবেন। কোচবিহারেই তিনি রাত কাটাবেন। পরেরদিন ফিরে যাবেন। রাসমেলা পরির্দশনের পাশাপশি তাঁর এই সফরে একটি কর্মিসভা রয়েছে। রাজবাড়ি স্টেডিয়াম ও পুলিস লাইনের মাঠে আলাদা দু’টি হেলিপ্যাড করা হচ্ছে। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা এটা দেখছেন। বিজেপি এটা নিয়ে জলঘোলা করছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে কোচবিহারে ওরা দেদার টাকা খরচ করেছিল। আমরা তখনতো কোনও প্রশ্ন তুলিনি। আসলে ওরা সংকীর্ণ মানসিকতার। তাই সবকিছু নিয়ে রাজনীতি করে।
বিজেপির জেলা সভাপতি মালতী রাভা রায় বলেন, একদিকে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন সরকারের কোষাগার ফাঁকা। অন্যদিকে বিনা কারণে তার সফরকে ঘিরে সরকারি টাকার দেদার অপচয় করা হচ্ছে। কোচবিহারে বিমানঘাঁটি রয়েছে। আগেই মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার কোচবিহারে এসেছেন। বিমানবন্দরে হেলিকপ্টার নামতেই পারে। এবারে সরকারি টাকা অপচয় করা ছাড়া একে আর কি বলব। আসলে তৃণমূল সরকার মানুষের কথা ভাবে না। পরিকল্পনাহীনভাবে রাজ্য চলছে।
মুখ্যমন্ত্রীর ১৩ নভেম্বর কোচবিহারের রাসমেলায় আসার কথা ছিল। সেজন্য রাসমেলার সাংস্কৃতিক মঞ্চের উদ্বোধনও পিছিয়ে দেওয়ার কথা আয়োজকরা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু এনিয়ে বির্তক ওঠায় শেষপর্যন্ত রাস উৎসবের সূচনা ১১ নভেম্বরই মেলার উদ্বোধন হয়। তবে মুখ্যমন্ত্রী ১৩ তারিখ আসবেন চূড়ান্তই ছিল। দক্ষিণবঙ্গে বুলবুল আছড়ে পড়ায় সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় সফর পিছিয়ে দেন। সেই সফরই কাল, সোমবার তাঁর রয়েছে। বিজেপির দাবি, মুখ্যমন্ত্রী এরআগে কোচবিহারে একাধিকবার এসেছেন। সেইসময়ে বিমানবন্দরে তাঁর হেলিকপ্টার নেমেছিল। তাহলে এবার কেন অযথা সরকারি টাকা খরচ করে হেলিপ্যাড তৈরি করা হচ্ছে। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে অযথা জলঘোলা করার রাজনীতি করছে। এখন রাসমেলা চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেজন্যই রাজবাড়ি স্টেডিয়ামে এবং পুলিস লাইনে দু’টি অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হচ্ছে। সমস্ত দিকটিই তাঁর নিরাপত্তা বিষয়ক আধিকারিকরা দেখছেন।