নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
উল্লেখ্য, মালদহকে ভেঙে উত্তর ও দক্ষিণ মালদহ বলে দু’টি পুলিস জেলা তৈরির প্রস্তাব ২০১৮ সালেই জমা পড়েছিল রাজ্য সরকারের কাছে। পরে সেই প্রস্তাব সম্পর্কে বেশ কিছু মতামত রাজ্য সরকার জেলা পুলিসের কাছ থেকে চেয়ে পাঠায় বলে জানা গিয়েছে। বর্তমান প্রস্তাব অনুযায়ী বৈষ্ণবনগর, কালিয়াচক, মোথাবাড়ি, ইংলিশবাজার, মালদহ, হবিবপুর, বামনগোলা ও গাজোল থানাগুলি দক্ষিণ মালদহ পুলিস জেলায় রাখার প্রস্তাব রয়েছে। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি পুলিস ফাঁড়িকে থানায় পরিণত করার প্রস্তাবও রয়েছে।
অন্যদিকে, হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল, পুখুরিয়া, রতুয়া, মানিকচক ও ভূতনি থানাকে উত্তর মালদহ পুলিস জেলার অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রয়েছে। একই সঙ্গে চাঁচল ও হরিশ্চন্দ্রপুরে আরও একটি করে নতুন থানা ও কয়েকটি ফাঁড়িকে থানায় উন্নীত করার প্রস্তাবও রয়েছে রাজ্য পুলিসের শীর্ষ কর্তাদের কাছে।
উল্লেখ্য, মানিকচক ব্লকে মানিকচক ও ভূতনি এই দু’টি থানা রয়েছে। এখান থেকেই ক্ষোভের সূত্রপাত। বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত সরাসরি আন্দোলনে না নামলেও তার প্রস্তুতি মোটামুটি নিয়ে ফেলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন দক্ষিণ মালদহের কংগ্রেস সংসদ সদস্য আবু হাসেম খান চৌধুরি (ডালু)। মালদহকে দু’টি পুলিস জেলায় ভাগ করা হলে মানিকচককে দক্ষিণ মালদহেই রাখার আর্জি জানিয়েছেন ডালুবাবু।
মানুষের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীরা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে পারে বুঝেই এবার ময়দানে নেমে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্বও। সরাসরি রাজ্য পুলিসের ডিরেক্টর জেনারেল বীরেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুরোধ করেছেন, শেষ পর্যন্ত পুলিস জেলা ভাগ হলে মানিকচককে যেন সদর মহকুমার সঙ্গেই যুক্ত রাখা হয়। কারণ চাঁচল থেকে মানিকচকের দূরত্ব কমবেশি ৪৫ কিলোমিটার। অন্যদিকে, জেলা সদর ইংলিশবাজার ও মানিকচকের দূরত্ব ৩২ থেকে ৩৫ কিলোমিটার। তাছাড়াও ইংলিশবাজার ব্লকের কিছু অংশ আবার মানিকচক বিধানসভার মধ্যে পড়ে। তাই সব দিক বিবেচনা করে মানিকচককে প্রস্তাবিত দক্ষিণ মালদহ পুলিস জেলার মধ্যে রাখাই সঙ্গত বলে দাবি গৌরবাবুর।
তিনি বলেন, দলীয় স্তরেও রাজ্য নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বিষয়টি জানিয়েছি। দলের জেলা সভানেত্রী মৌসম নুরও পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া’র সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গেও একপ্রস্ত কথাবার্তা সেরেছেন তিনি।
মানিকচক থেকে নির্বাচিত প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক ও মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, আমিও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেছি। মানিকচককে মালদহ সদরের সঙ্গেই রাখতে হবে।
তবে আস্তিন গোটাচ্ছে বিরোধীরাও। মানিকচকের কংগ্রেস বিধায়ক মোত্তাকিন আলমের বক্তব্য, আমি ডিজি ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠাচ্ছি। মানিকচককে মালদহ সদর থেকে বিচ্ছিন্ন করা হলে লাগাতার আন্দোলন হবে।
এই বিষয়ে পুলিস সুপারের মন্তব্য না পাওয়া না গেলেও জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সবটাই এখনও প্রস্তাবের আকারে রয়েছে। সব দিক বিবেচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।