নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
এদিকে চা বলয়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ ঠেকাতে শুক্রবার থেকেই স্বাস্থ্যদপ্তর স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতকে নিয়ে চা বাগানগুলির নালা নর্দমায় জমা জল ফেলে দেওয়ার অভিযান শুরু করেছে। বাগানে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে মশা মারার তেল স্প্রে করার কাজও শুরু হয়েছে।
মাদারিহাটের লঙ্কাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির সাগর মেহার বলেন, গত সোমবার বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে রামঝোড়া চা বাগানের প্রেমনগর লাইনের যুবক বিক্রম গোসাঁইয়ের(৩৪) মৃত্যু হয়। ছেলেটি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল। অথচ স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে। মাস খানেক আগে এই চা বাগানের যোগী লাইনের বাসিন্দা লক্ষ্মী গোসাঁইও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। স্বাস্থ্যদপ্তর চা বাগানে সব ক্ষেত্রেই ডেঙ্গু আক্রান্তদের কথা লুকোচ্ছে।
মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা অভিযোগ করে বলেন, রামঝোরা ছাড়াও মাদারিহাটের লঙ্কপাড়া, হাণ্টাপাড়া, ঢেকলাপাড়া, বান্দাপানি, তুলসীপাড়া সহ সব চা বাগানে ডেঙ্গু জাঁকিয়ে বসছে। অথচ স্বাস্থ্যদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্তদের কথা গোপন করে যাচ্ছে। বাগানে ডেঙ্গুর প্রকোপ ঠেকাতে স্বাস্থ্যদপ্তরকে দ্রুত বাগান মালিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করতে হবে।
জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, স্বাস্থ্যদপ্তরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ঠিক নয়। বিক্রম গোসাঁই নামে বীরপাড়া হাসপাতালে মৃত্যু হওয়া ওই যুবকের জ্বরের সঙ্গে হৃদরোগও ছিল। ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগেই। স্বাস্থ্যদপ্তর কোনওভাবেই ডেঙ্গু আক্রান্তের কথা গোপন করছে না। চা বাগানের স্বাস্থ্য পরিষেবার সম্পূর্ণ দায় বাগান মালিকদের। কিন্তু চা বাগান কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করছে না। তার জেরে বাড়তি চাপ পড়ছে স্বাস্থ্য ও পঞ্চায়েত দপ্তরের উপরে।
এদিকে চা বাগানে মশাবাহিত ডেঙ্গুর প্রকোপের জন্য স্বাস্থ্যদপ্তর চা বাগান কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের অভিযোগ, চা বাগানের নালা নর্দমা পরিষ্কার রাখা ও শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরিষেবার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে চা বাগান কর্তৃপক্ষের। কিন্তু চা বাগান কর্তৃপক্ষ তাদের এই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না। ফলে চা বাগানে ডেঙ্গু ছড়ানোর জন্য পঞ্চায়েত ও স্বাস্থ্যদপ্তরের উপরে বাড়তি চাপ বাড়ছে।
আলিপুরদুয়ার জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি ভারত-ভুটান আন্তর্জাতিক সীমান্তের কালচিনি ব্লকে। কালচিনির জয়গাঁয় তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুর হানাদারি চলছে। ভুটানের ফুন্টশোলিং থেকেই ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে জয়গাঁয়। জয়গাঁ থেকেই ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ছে জেলার অন্যান্য অংশেও। স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, গোটা জেলায় এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫০০’র কাছাকাছি। এই বছর এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গিয়েছেন চারজন।
তবে নতুন করে ডেঙ্গু চা বাগান এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় স্বাস্থ্যদপ্তরের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। আর স্বাস্থ্যদপ্তরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, চা বাগানে ডেঙ্গু আক্রান্তের মৃত্যুর কথা লুকোচ্ছে স্বাস্থ্যদপ্তর।