নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
২০১৬ সালের গণভোট পরবর্তী ব্রেক্সিট নিয়ে নাজেহাল ব্রিটিশ প্রশাসন। যার জেরে পার্লামেন্ট অচল হয়ে রয়েছে। বুধবার রাতেই কনজারভেটিভ পার্টির হয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসন। বার্মিংহামে গিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রচারে যা বলেছি, তা করব।’ গত কয়েক বছর ধরে দেশের সাধারণ মানুষ এবং রাজনীতিবিদের মধ্যে আড়াআড়ি বিভাজন তৈরি করেছে ব্রেক্সিট। আর এবারের আসন্ন নির্বাচন সেই বিভাজনকে ফের একবার তুলে ধরবে বলে মনে করছে সমীক্ষক সংস্থাগুলি।
‘ব্রেক্সিটপন্থী’রা যেখানে কনজারভেটিভ ও ব্রেক্সিট পার্টির ভোটব্যাঙ্ক, সেখানে লিবারেল ডেমোক্র্যাটস এবং স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির সমর্থক হলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থাকতে চাওয়া মানুষ। মধ্যপন্থা নিয়ে চলছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি। কিন্তু, ফের গণভোটের দাবিতে প্রচারে নেমেছে তারা। ২০১৭ সালের সাধারণ নির্বাচনের ফলে দেখা গিয়েছে, বর্ষীয়ান ভোটাররা দু’হাত তুলে কনজারভেটিভ পার্টিকে সমর্থন দিয়েছে। সেইসঙ্গে, ভারতীয় সম্প্রদায়ের বড় অংশের ভোট পেয়েছে তারা। অন্যদিকে, লেবার পার্টির প্রতি সমর্থন রয়েছে তরুণ প্রজন্মের। সেই প্রবণতা এখনও চলছে।
একইভাবে সাম্প্রতিককালের সমীক্ষা রিপোর্টে উঠে এসেছে, ১৮-২৪ বছর বয়সী তরুণ প্রজন্ম বামপন্থী লেবার পার্টির সমর্থক। অন্যদিকে, ৭০ বছরের বেশি বয়সী ভোটারের সিংহভাগ সমর্থন রয়েছে শাসক কনজারভেটিভ পার্টির প্রতি। ‘ইউগভ’-এর তথ্য অনুযায়ী, সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করা ৬০ শতাংশ ভোটার দেশের সাধারণ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। কিন্তু, ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী ভোটারদের ধরলে ভোটদানের পরিমাণ ছাড়াতে পারে ৭০ শতাংশ। আর বয়সের নিরিখে এই পরিসংখ্যান যদি ভোটবাক্সে পড়ে, তাহলে বর্ষীয়ান ভোটাররাই কনজারভেটিভ পার্টির ‘ট্রাম্প কার্ড’ হতে পারে।
শিক্ষাগত যোগ্যতাও এবারের ভোটে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি থাকা নাগরিকরা লেবার পার্টি এবং লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের (লিব ডেম) ভোট দিতে পারে। কিন্তু, স্কুল পড়ুয়াদের ভোট যেতে পারে কনজারভেটিভ বা ব্রেক্সিট পার্টির দিকে। গত কয়েক বছরের ভোটে লিব ডেমের জনপ্রিয়তা কমলেও পরিস্থিতির বদল হয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে লিব ডেমকে অনেকে গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে। সে জন্য গত মে মাসের স্থানীয় নির্বাচনে ৭০০-এরও বেশি আসন পেয়েছিল তারা। ইউরোপের নির্বাচনে ১৩ শতাংশ ভোট তাদের দিকে স্যুইং করায় লেবার পার্টিকে সরিয়ে দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছিল লিব ডেম। আর কনজারভেটিভরা চলে যায় পঞ্চম স্থানে।
প্রসঙ্গত, ব্রেক্সিট নিয়ে গণভোট পরবর্তী ২০১৭ সালে সাধারণ নির্বাচন হয়েছিল ব্রিটেনে। যেখানে একক বৃহত্তম দলে পরিণত হয়েছিল কনজারভেটিভ পার্টি। তারপর গত চার বছরে তৃতীয়বারের জন্য সাধারণ নির্বাচনে যাচ্ছে ব্রিটেন।