নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
উত্তর দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, গুটখা এবং অন্যান্য তামাকজাত পানমশলা বর্জনের যে নির্দেশিকা সরকার জারি করেছে আমরা সেই মোতাবেক কাজ করছি। ইতিমধ্যেই আমরা জেলাজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় স্টিকারের মাধ্যমে বিক্রি বন্ধের নির্দেশ জারি করেছি। গোটা জেলাতেই আমরা এই বিষয়টি দ্রুত কার্যকরী করার পরিকল্পনা করেছি। সেই মোতাবেক কাজ করে চলেছি। নির্দেশিকা অমান্য করে কেউ বিক্রি করলে অবশ্যই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত মাসের ২৫ তারিখ সরকারিভাবে নির্দেশিকা জারি করে বলে দেওয়া হয় যে গুটখা ও পানমশলা সহ বিভিন্ন তামাকজাত দ্রব্য ৭ নভেম্বর থেকে রাজ্যে পুরোপুরিভাবে নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। আর এই ধরনের কোনও সামগ্রী বিক্রি করতে পারবেন না দোকানদারেরা। নির্দেশিকা অনুযায়ী রাজ্যের সর্বত্র এই ধরনের সামগ্রী বর্জন করা শুরু হয়েছে ৭ নভেম্বর থেকে। পিছিয়ে নেই উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনও। গত ৭ তারিখ থেকেই এই বিষয়ে লাগাতার প্রচার চালানো হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসনের দাবি। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তামাকজাত অন্যান্য সামগ্রী না রাখার এবং বিক্রি করার নির্দেশ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর। শহরের সর্বত্র দোকানগুলিতে সতর্ক করা হয়েছে। যদিও সময় কম থাকায় অনেক জায়গাতেই সঠিকভাবে প্রচার চালাতে পারেনি প্রশাসন বলে ব্যবসায়ীদের একাংশ দাবি করেছেন। তাঁদের মতে, এই নির্দেশিকা বলবৎ করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রচার কম হয়েছে। ফলে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের মধ্যে নানান বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। কবে থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকরী হচ্ছে তার কোনও স্পষ্ট ধারণা অনেকেরই হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে।
যদিও এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে বলেই জানিয়েছে প্রশাসনের আধিকারিকরা। তাঁদের মতে, সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী জেলাজুড়ে প্রচার চালানো হচ্ছে এবং এই প্রচার আগামীতে আরও বৃদ্ধি করা হবে। পাশাপাশি নানান অনুষ্ঠান এবং শিবিরের মাধ্যমে এই প্রচার মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।