নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভগবানগোলা থানার বর্ষাতিগোলায় একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে ভগবানগোলা-১, ২ ব্লক এবং লালগোলা সহ লালবাগ মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার বিভিন্ন দোকানে ঠান্ডা পানীয় একচেটিয়া সরবরাহ করা হয়। ঠান্ডা পানীয়ের এজেন্সির পাশাপাশি ওই ব্যবসায়ীর একটি মিষ্টি দোকান রয়েছে। বেশ কিছুদিন থেকে ওই মিষ্টির দোকানের বিরুদ্ধে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঠান্ডা পানীয় বিক্রির অভিযোগ উঠছিল। বিষয়টি স্থানীয় বিডিও পুলক কান্তি মজুমদারের কানে যেতেই তিনি ব্লক খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক এস কে নুর আলম এবং স্থানীয় থানার পুলিসকে সঙ্গে মিষ্টির দোকানে হানা দেন। সেখানে ফ্রিজের ভিতরে রাখা বেশকিছু মেয়াদ উত্তীর্ণ ঠান্ডা পানীয় বাজেয়াপ্ত করা হয়। এরপরেই ওই ব্যবসায়ীর চারটি গোডাউনে অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন কোম্পানির মেয়াদ উত্তীর্ণ ঠান্ডা পানীয় বাজেয়াপ্ত করা হয়।
জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত ঠান্ডা পানীয়ের কোনওটির ছ’মাস আগে, কোনওটির এক বছর আগে, আবার কোনওটির দেড় বছর আগে মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। এমনকী, ভগবানগোলার জনবহুল এলাকায় রমরমিয়ে চলা মিষ্টির দোকানের জন্য খাদ্যদপ্তরের কোনও বৈধ কাগজপত্র নেই। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমতি ছাড়াই দোকান চালু রয়েছে। আগে দু’-একবার মেয়াদ উত্তীর্ণ ঠান্ডা পানীয় বিক্রি করার অভিযোগ উঠলেও স্থানীয় বাসিন্দারা কখনও গুরুত্ব দেননি। কিন্তু, শুক্রবার প্রচুর পরিমাণে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঠান্ডা পানীয় বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঘটনায় তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ। খবর জানাজানি হতেই মিষ্টির দোকান এবং গোডাউনের সামনে ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা কিসমত শেখ বলেন, কয়েক মাস আগে এমন একটা অভিযোগ শুনেছিলাম। তখন আমল দিইনি। কিন্তু, এদিনের ঘটনার পর থেকে ঠান্ডা পানীয়ের প্রতি একটা আতঙ্ক তৈরি হয়ে গেল। এভাবে অনেকেই আমরা তাড়াহুড়োর মধ্যে বিষ পান করছি।
যদিও এবিষয়ে ওই মিষ্টির দোকানের কর্ণধার রতন দেবনাথ বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঠান্ডা পানীয় গোডাউনে রেখেছি। কোম্পানির লোক এসে নিয়ে যাবে। কিন্তু, এক বা দেড় বছর আগের মেয়াদ উত্তীর্ণ ঠান্ডা পানীয় কী কারণে এখনও রয়েছে তার সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। মিষ্টির দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঠান্ডা পানীয় থাকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দোকানের কর্মচারীরা নিরক্ষর। তাই না জেনেই রেখে দিয়েছে। এক্ষেত্রে আমার কোনও দোষ নেই।
বিডিও বলেন, ভগবানগোলা ব্লকের বেশকিছু এলাকায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ঠান্ডা পানীয় বিক্রির খবর কানে আসছিল। বর্ষাতিগোলার দেবনাথ এজেন্সি বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। তাই ওই প্রতিষ্ঠান থেকে অভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মিষ্টির দোকানের ফ্রিজে কিছু পাওয়া গেলেও চারটি গোডাউনে ঢুকে তো অবাক হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয়। ওই গোডাউনগুলিতে ছোট বড় মিলিয়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি মেয়াদ উত্তীর্ণ ঠান্ডা পানীয়ের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্যে ছোটদেরও পানীয় রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোডাউনগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।