নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
লোকসভা ভোটের ফলাফল উল্টে দিতে চাইছে তৃণমূল। আবার বিজেপি নেতৃত্ব লোকসভা ভোটের থেকেও ভালো ফল করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিয়েছে। মনোনয়নপত্র পেশ করার শেষ দিন ছিল ৬ নভেম্বর। সেদিন থেকেই দুই দল সমানতালে নিজেদের ঘর সামলাতে এগিয়ে চলেছে। স্থানীয় একটি ধর্মীয় সংগঠন মাঝেমধ্যেই কালিয়াগঞ্জ শহরে নগর সংকীর্তনের আয়োজন করে। এদিন তাঁদের সঙ্গে কাকভোরে শহরের অলিতে গলিতে হাঁটেন তৃণমূলের প্রার্থী তপনবাবু এবং কয়েকজন স্থানীয় নেতা-কর্মী। অন্যদিকে, বাম- কংগ্রেসের জোট প্রার্থীর তরফে ছোট ছোট জনসভার মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে। জেলা স্তরের বিভিন্ন নেতা-নেতৃত্ব ওই জনসভাগুলোতে গিয়ে কংগ্রেসের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন। কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের লড়াই ত্রিমুখী হতে চলেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এই বিষয়ে বিজেপি উত্তর দিনাজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা কালিয়াগঞ্জ উপনির্বাচনের কনভেনার বাসুদেব সরকার বলেন, আমাদের প্রার্থী কমল সরকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। এছাড়াও ছোট ছোট বুথভিত্তিক মিটিং মিছিল করে বিজেপির পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য প্রচার চালাচ্ছেন। লোকসভা ভোটে আমরা যত ভোট পেয়েছিলাম, এবার তার থেকেও বেশি ব্যবধানে জিতে এই বিধানসভা কেন্দ্র নিজেদের দখলে রাখবো।
তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ভোটের প্রচার চালানোর জন্য আমরা জনসভা থেকে শুরু করে বুথ ভিত্তিক মিটিং-মিছিল সবটাই করছি। আমাদের এই প্রচারে প্রচুর মানুষ আমাদের সমর্থন জানাচ্ছেন।
কংগ্রেসের তরফে উত্তর দিনাজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ বলেন, ছোট ছোট জনসভা, পথসভা ও মিটিং-মিছিলের মাধ্যমেই আমরা কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চালাচ্ছি। যথেষ্ট ভালো সাড়া পাচ্ছি।
আগামী ২৫ নভেম্বর কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে। ২৮ নভেম্বর নির্ধারিত হবে প্রার্থীদের ভাগ্য। তবে গত ৬ নভেম্বর মনোনয়নপত্র পেশ করার শেষ দিন পেরিয়ে যেতে সব দলই তাদের নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছে। কোথাও জনসংযোগ বাড়াতে নগর সংকীর্তন, কোথাও ছোট ছোট জনসভা করা হচ্ছে। আবার কোথাও বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজেদের মতামত ভোটারদের সামনে তুলে ধরছেন প্রার্থীরা। একদিকে যেমন তৃণমূল এনআরসি বিরোধী প্রচারে সরব হয়েছে, অন্যদিকে, বিজেপি এনআরসি আতঙ্ক কাটাতে বাড়ি বাড়ি মানুষের কাছে পৌঁছে বার্তা দিচ্ছে। বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী আবার রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন নীতি বিরোধী প্রচারেই মন দিয়েছেন।