কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
ডালখোলা পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে কয়েক মাস আগেই। প্রশাসক নিযুক্ত করে চলছে পুরসভা। ফলে নির্বাচন আসন্ন। কিন্তু সেই পুরভোটের মুখেই এবার লোকসভা নির্বাচনে পুরসভা এলাকায় শাসক দলের চেয়ে বিজেপি ভোট বেশি পেয়েছে। বিজেপির এই ভোট বৃদ্ধির ফলে এবার পুরসভা নির্বাচন নিয়ে শাসকশিবির উদ্বেগে রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের আলোচনা, কানাইয়ালাল জেলা সভাপতির পদ পাওয়ার পর তাঁর নেতৃত্বে এটাই প্রথম নির্বাচন হতে চলেছে। দলনেত্রীর আস্থা বজায় রাখতে ডালখোলা পুরসভার ক্ষমতা ধরে রাখা কানাইয়াবাবুর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। কোনও ভাবেই এটি হাতছাড়া হলে চলবে না। এই সত্যটি কানাইয়াবাবুও ভালো করেই উপলব্ধি করতে পারছেন। তাই সময় নষ্ট না করে এখন থেকেই নির্বাচনে লড়াইয়ের ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করতে চাইছেন তিনি।
কানাইয়াবাবু বলেন, জেলার সমস্ত পুরসভা এলাকাতেই লোকসভা নির্বাচনে আমাদের ফল খারাপ হয়েছে। অন্য পুরসভাগুলির তুলনায় ডালখোলায় বিজেপি কম লিড পেয়েছে। সামনেই পুরসভা নির্বাচন আছে। এখন থেকেই ফলাফল পর্যালোচনা করে পুর নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করব। বুধবার ডালখোলা শহর কমিটি নিয়ে বৈঠকে বসব। পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান তৃণমূলের সুভাষ গোস্বামী বলেন, লোকসভা নির্বাচনের কোনও প্রভাব পুর নির্বাচনে পরবে না। পুরসভা নির্বাচনে স্থানীয় ইস্যুতে ভোট হবে। আমরাই জয়ী হব। টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তনয় দে বলেন, লোকসভায় সারা দেশের ভোট হয়েছে। কিন্তু পুরনির্বাচনে স্থানীয় ইস্যুতে, প্রার্থী দেখে ভোট হবে। আমরা এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। আমাদের প্রার্থীরাই জয়ী হবেন।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বর এই পুরসভায় নির্বাচন হয়েছিল। গত বছর সেই পুর বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আপাতত সেখানে প্রশাসক রয়েছে। তবে পুর নির্বাচনের জন্য প্রশাসনিক প্রস্তুতি জারি আছে। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন ওয়ার্ড সংরক্ষণের তালিকা প্রকাশ করেছে। পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২, ৭, ৯ এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ড এসসিদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। এরমধ্যে ২ এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। ৩, ৬, ১২ এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ড জেনারেল মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে। বাকি চারটি ওয়ার্ড জেনারেল।
২০১৩ সালের নির্বাচনে ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে কংগ্রেস পায় ১০টি, সিপিএম চারটি ও তৃণমূল কংগ্রেস দু’টি আসন পায়। কংগ্রেস পুর বোর্ড গঠন করে। পরে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী কাউন্সিলারেরা দলবদল করে তৃণমূলে চলে আসেন। সিপিএমের এক সদস্যও তৃণমূলে যোগ দেন। এবার লোকসভা ভোটে শহরে তৃণমূলেরই লিড পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যাচ্ছে এখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রায় সাড়ে চার হাজার ভোটে বিজেপি’র থেকে পিছিয়ে রয়েছে। বিদায়ী চেয়ারম্যান সুভাষ গোস্বামীর ওয়ার্ডেই বিজেপি এক হাজারের বেশি ভোটে লিড নিয়েছে। এই অবস্থায় আগামী পুরভোট তৃণমূলের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। সে কথা মাথায় রেখেই নেতৃত্ব প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে।