কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
শুনানিতে মাদারিহাটের বন্ধ বান্দাপানি চা বাগানের একটি স্কুলের ছাত্রীরা অভিযোগ করেন, তাদের স্কুল যাওয়ার পথে ট্রেন আসার সময় স্থানীয় রেল গেট পড়লে এলাকার নেশাগ্রস্ত রোমিও যুবকরা তাদের উত্ত্যক্ত করে। কিন্তু বীরপাড়া থানায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। পড়ুয়াদের এই অভিযোগ শুনে ক্ষুব্ধ শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন। আবার, রাজ্য সরকার ছাত্রীদের সালোয়ার কামিজ দিলেও তার সঙ্গে ওড়না দিচ্ছে না। শুনানিতে কালচিনির বন্ধ মধু চা বাগানের স্কুল ছাত্রীদের এই অভিযোগও শুনতে হয়েছে চেয়ারপার্সনকে। জলপাইগুড়ির রেডব্যাংক ও বাগরাকোট চা বাগান থেকে গত ছ’মাসে ৫০টি শিশু পাচার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পুলিস বা স্থানীয় প্রশাসন তার কোনও খবরই রাখে না বলে চেয়ারপার্সনকে এই অভিযোগও শুনতে হয়েছে এদিনের গণ শুনানিতে।
চা বাগানের শ্রমিকদের সমস্যা শোনার জন্য এবং সেই অনু্যায়ী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গত এক বছর ধরে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন বাগানগুলিতে ‘আপনার বাগানে প্রশাসন’ কর্মসূচি চালিয়েছিল। কিন্তু জেলা প্রশাসনের এই কর্মসূচি যে কাজ আসেনি এদিন শিশু অধিকার সুরক্ষার গণ শুনানিতে পড়ুয়াদের এই অভিযোগই তা প্রমাণ করছে।
অন্যদিকে, বন্ধ চা বাগানের পড়ুয়াদের কাছ থেকে সরাসরি এই অভিযোগ আসার ঘটনায় বেজায় উদ্বিগ্ন রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। উদ্বিগ্ন কমিশন এবিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে রাজ্য সরকারের কাছে বেশকিছু প্রস্তাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু তাই নয়, সরকারকে প্রস্তাব দেওয়ার পর স্থানীয় জেলা প্রশাসন এবিষয়ে কি কি ব্যবস্থা নিয়েছে একমাস পর তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়েছে কমিশন।
কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা দেবী বলেন, বন্ধ চা বাগানের পড়ুয়ারা অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ তুলেছে। পড়ুয়াদের কাছ থেকে এই অভিযোগ আসায় আমরা উদ্বিগ্ন। সেই জন্য রাজ্য সরকারকে কমিশনের তরফ থেকে দ্রুত বন্ধ চা বাগান খোলা, বন্ধ চা বাগানে আরও বেশি করে আইসিডিএস ও এসএসকে চালুর প্রস্তাব দেওয়া হবে। কমিশন রাজ্য সরকারের সঙ্গেও কথা বলবে।
ডুয়ার্সে বর্তমানে ১১টি চা বাগান বন্ধ আছে। আছে বেশকিছু অচল ও রুগ্ন চা বাগানও। রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন মনে করছে, দীর্ঘদিন বাগান বন্ধ থাকার কারণে বন্ধ বাগানের শ্রমিকদের হাতে পয়সা নেই। যার প্রভাব পড়ছে বাগানগুলির পড়ুয়াদের উপর। যার জেরেই বন্ধ চা বাগান থেকে যেমন শিশু পাচার হচ্ছে, তেমনি পড়ুয়াদের মধ্যে স্কুল ছুটের সংখ্যাও বাড়ছে।