কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
সোমাবার রাতে মাথাভাঙার সুটুঙ্গা সেতুর কাছে টিএমসিপি’র জেলা সভাপতি নরেন চন্দ্র দত্তের উপর বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এরপরই এর প্রতিবাদে মাথাভাঙা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় টিএমসিপি। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিস দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে গভীর রাতে তৃণমূল শনিমন্দির এলাকায় বিজেপি’র কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় এবং ফ্লেক্স, ফেস্টুন ও দলীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে বলে অভিযোগ। অপরদিকে বিজেপি’র অভিযোগ, সুটুঙ্গা সেতু সংলগ্ন এলাকায় তাদের কয়েকজন কর্মী গেলে তাঁদের আটকে মারধর করা সহ বাইক ভাঙচুর করা হয়। পুলিস ঘটনাস্থলে থাকলেও কোনও পদক্ষেপ করেনি। একই সঙ্গে পুলিসের মদতেই শনিমন্দিরের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। শহরের বেশকিছু জায়গায় জমায়েত হওয়ার খবর পেয়েই ছুটে গিয়ে লোকজনকে সরিয়ে দিয়েছে পুলিস। এদিন দিনভর পুলিস কোর্ট চত্বর থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন জায়গায় টহল দিয়েছে।
এব্যাপারে বিজেপির ট্রেড ইউনিয়নের জেলা সভাপতি রঞ্জিত বর্মন বলেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সুটুঙ্গা সেতুর কাছে আমাদের কয়েকজন দলীয় কর্মীকে আটকে মারধর করেছে, তাঁদের বাইকও ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিসের উপস্থিতিতে এসব হলেও তারা কোনও পদক্ষেপই করেনি। গভীর রাতে তৃণমূল আমাদের পার্টি অফিসে ভাঙচুর করেছে। তারা আমাদের কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে, শহরে দেখলেই মেরে ফেলবে। এদিনও কয়েকজনকে হুমকি দিয়েছে। অপরদিকে বিজেপি’র অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন টিএমসিপি’র জেলা সভাপতি নরেন্দ্র চন্দ্র দত্ত। তিনি বলেন, আমার উপর হামলার পর সাধারণ মানুষ বিজেপি’র দুস্কৃতীদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। ক্ষুদ্ধ জনতা ওদের বাইকে ভাঙচুর চালাতে পারে। নিজেরাই পার্টি অফিসে ভাঙচুর করে আমাদের নামে বদনাম করছে। আমরা কাউকে হুমকি দিইনি। বিজেপি’র লোকজনই আমাদের কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে। মাথাভাঙা থানার পুলিস জানিয়েছে, গতকাল রাতের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বেশকিছু জায়গায় দু’পক্ষের কিছু সমর্থক জমায়েত হয়েছিল। তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।