অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
মঙ্গলবার কলকাতার একটি দৈনিকে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের প্রসঙ্গে কিছু কথা বলেছেন। সেখানে তিনি যা বলেছেন তা হল, বাংলাদেশে এখনও অনেক গরিব মানুষ রয়েছে। তারা সবাই খেতে পায় না। এই কারণে তারা অনেকেই অনুপ্রবেশ করে ভারতে আসছে কাজের সন্ধানে। এব্যাপারেই ওইদিন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চায় সে দেশের সংবাদমাধ্যম। তখনই ডঃ মোমেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের সমালোচনা করে ওই বক্তব্য পেশ করেন।
ডঃ মোমেন বলেন, পৃথিবীতে অনেক জ্ঞানী লোক আছেন, যাঁরা দেখেও দেখেন না। জেনেও না জানার ভান করেন। বাংলাদেশ নিয়ে অমিত শাহ যে বক্তব্য রেখেছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে বলব, বাংলাদেশ নিয়ে ওঁর জ্ঞান সীমিত। অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন ভারতের থেকেও এগিয়ে। ভারতের অন্তত ৫০ শতাংশ
মানুষের ভালো বাথরুম নেই। অথচ বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ ভালো বাথরুম ব্যবহার করে। আমাদের দেশের শিক্ষিত লোকের চাকরির অভাব রয়েছে ঠিকই। কিন্তু অশিক্ষিত মানুষের কর্মসংস্থানের অভাব নেই। ওঁর জেনে রাখা দরকার, ভারতের লক্ষাধিক মানুষ বাংলাদেশে চাকরি করেন। তাই আমাদের ভারতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। অমিত শাহদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে হবে। মনে হয়, আমরা ওঁদের সঠিক তথ্য জানাতে পারিনি। এটা আমাদের দীনতা। ওঁদের সঠিক তথ্য জানাতে আমরা সজাগ থাকব।
ঢাকার একটি সূত্রে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটের প্রচারে এবার অনুপ্রবেশ একটি বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে সিএএ-এনআরসি লাগুর সম্ভাবনাকে সামনে রেখে বিজেপি যেভাবে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে প্রচার চালাচ্ছে, তাতে মেরুকরণের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়ে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে। এই পরিস্থিতির খবর হাসিনা সরকার নিয়মিত রাখছে। এই চাপান-উতোরের ফলে আগামী দিনে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না দু’দেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।