ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
এফএটিএফ-এর প্লেনারি অধিবেশনে উঠে এসেছে, পাকিস্তানকে দেওয়া মোট ২৭টি শর্তের মধ্যে এতদিনে মাত্র হাতেগোনা কয়েকটি শর্তই পূরণ হয়েছে। তাই বাকি শর্তগুলি পূরণের জন্য আগামী জুন মাস পর্যন্তই সময় দিতে রাজি হয়েছে এফএটিএফ। কোনও দেশকে কালো তালিকায় ফেলার আগে সেটিকে ‘ধূসর’ এবং ‘অতি ধূসর’ তালিকায় রাখে এফএটিএফ। ওই দু’টি তালিকায় রেখে সংশ্লিষ্ট দেশকে দু’বার সাবধান করে এফএটিএফ। টাস্ক ফোর্সের নির্দেশ মেনে কাজ করলে সাদা তালিকায় নয়তো কালো তালিকায় জায়গা হয় সংশ্লিষ্ট দেশটির। এফএটিএফের ধূসর তালিকায় থাকা দেশগুলি আইএমএফ, বিশ্বব্যাঙ্ক, এডিবি বা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে অনুদান পায় না। ফলে ধূসর তালিকাতেই রয়ে যাওয়ায় আর্থিক দিক থেকে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানের সামনে সমস্যা আরও বাড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ধূসর তালিকা থেকে সাদা তালিকায় যেতে মোট ৩৯টি ভোটের মধ্যে কমপক্ষে ১২টি ভোট প্রয়োজন পাকিস্তানের। অন্যদিকে, কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্তি আটকাতে তাদের তিনটি দেশের সমর্থন প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমানে পাকিস্তানের পকেটে একমাত্র মালদ্বীপের সমর্থন রয়েছে। কারণ ভারতের লাগাতার চাপে কিছুতেই পশ্চিমী দেশগুলির সমর্থন জোগাড় করে উঠতে পারেনি ইসলামাবাদ। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান যদি ফের এফএটিএফের শর্তগুলি পূরণে ব্যর্থ হয়, তাহলে কালো তালিকায় উত্তর কোরিয়া ও ইরানের পাশে পাকিস্তানের উপস্থিতি স্রেফ সময়ের অপেক্ষা হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি এফএটিএফের প্লেনারি শুরু হওয়ার সপ্তাহখানেক আগেই লস্কর-প্রধান হাফিজ সইদকে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ১১ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল পাকিস্তানের বিশেষ দুর্নীতিদমন আদালত। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, আদালতের ওই রায়ের এফএটিএফ-কে তুষ্ট করার কৌশল নিয়েছিল ইসলামাবাদ। সম্প্রতি এফএটিএফ-কে পাকিস্তান জানিয়েছে, জয়েশের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মাসুদ আজহার ও তার পুরো পরিবার বর্তমানে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, রাষ্ট্রসঙ্ঘের চিহ্নিত করা মাত্র ১৬ জন জঙ্গি পাকিস্তানে রয়েছে, যাদের মধ্যে সাতজনের ইতিমধ্যেই মৃত্যু ঘটেছে বলেও এফএটিএফ-কে জানিয়েছে তারা।
এফএটিএফের ধূসর তালিকায় থেকে গেলেও ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ চীনের প্রশংসাই পেয়েছে পাকিস্তান। এফএটিএফের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়ান বলেন, ‘এই ইস্যুতে চীনের অবস্থান অপরিবর্তিতই রয়েছে। জঙ্গিদের অর্থসাহায্য রুখতে পাকিস্তান যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। আর পাকিস্তানের এই ভূমিকাকে এফএটিএফের বহু সদস্য সাধুবাদও জানিয়েছে। তাই সদ্যসমাপ্ত এফএটিএফের প্লেনারি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এফএটিএফের শর্তগুলি পূরণ করতে আরও একটু সময় দেওয়া হবে ইসলামাবাদকে।’