ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বন্ধুদের সঙ্গে নিজের ২৯তম জন্মদিন পালন করতে বেরিয়েছিলেন শিক্ষানবীশ আইনজীবী মীরা। বন্ধুদের সঙ্গে রাত দু’টো নাগাদ বার্মিংহামের অ্যানা রোচা পানশালায় আসেন তিনি। সেই দলেই ছিলেন তাঁর বন্ধু মান্ডি হুয়াং। লন্ডনের বাসিন্দা মান্ডি আদতে চীনের নাগরিক। ওই পানশালাতেই একদল এশীয় বংশোদ্ভূতের হাতে হেনস্তার স্বীকার হন মীরা। হেনস্তকারীদের একজন মীরার এক বন্ধুর গায়ে থুতু দেওয়ার চেষ্টা করেন। এই ঘটনার জেরে মীরার প্রায় সব বন্ধু চলে গেলেও ভোর পর্যন্ত থেকে যান তিনজন। যাঁদের মধ্যে ছিলেন ওই হুয়াং।
এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর মীরা তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে পানশালা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে ওই ব্যক্তি তাঁদের অনুসরণ করতে থাকেন। ‘দ্য সানডে মার্কারি’কে নিজের এমনই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন সোলিহালের বাসিন্দা মীরা। তিনি বলেন, ‘হুয়াংয়ের উদ্দেশে ওই লোকটি চিৎকার করে বলতে থাকেন, আপনার করোনা ভাইরাসকে বাড়ি নিয়ে যান। আমি তাঁকে বাধা দিতে গেলে সে আমার মাথায় ঘুষি মারে। আমি পড়ে গিয়ে অচৈতন্য হয়ে যাই।’ সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে মীরাকে হার্টল্যান্ডস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ছ’ঘণ্টা পর চিকিৎসকেরা তাঁকে ছেড়ে দেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন অ্যানা রোচার এক ম্যানেজার। অভিযুক্তকে পাকড়াও করতে তল্লাশির পাশাপাশি আমজনতার কাছে আর্জি জানিয়েছে ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিস। অ্যানা রোচার এই ঘটনা প্রসঙ্গে বার্মিংহামের অ্যাংলো-চাইনিজ গোষ্ঠীর এক সদস্য বলেন, করোনা নিয়ে বিশ্বজোড়া আতঙ্কের জেরেই এই জাতিহিংসা। অন্যদিকে, বার্মিংহাম চাইনিজ সোসাইটির এক মুখপাত্র বলেন, হেনস্তার ঘটনা ঘটেই থাকে। তবে বর্তমানে কয়েকটি হেনস্তার ঘটনার পিছনে রয়েছে করোনা ভাইরাস। ইতিমধ্যে নিউ ক্যাসল, ইয়র্ক ও ম্যানচেস্টারে বেশ কয়েকজনের শরীরে করোনা সংক্রমণের খবর মিলেছে। প্রসঙ্গত, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে প্রায় ৪ লক্ষ চীনা নাগরিক বসবাস করেন।