দীর্ঘকাল ধরে চলা সম্পত্তি মামলায় বিজয়। যাচাই না করে সম্পত্তি ক্রয় বা আর্থিক লেনদেনে ক্ষতির ... বিশদ
এদিন শুনানিতে মন্দির পুনরুদ্ধারের পক্ষে আবেদনকারীরা আদালতকে বলেন, ‘মন্দির কমপ্লেক্সের মধ্যেই মিনারটি তৈরি করা হয়েছে। এখন সেখানে হিন্দু ও জৈনদের পুজো করার অনুমতি দেওয়া হোক।’ আদালত তখন জানতে চায়, আপনারা কি মনে করেন এটি একটি উপাসনার স্থান? কোন আইনি অধিকারে একটি স্মৃতিস্তম্ভকে উপাসনালয়ে রূপান্তর চাইছেন?’ সেই সূত্র ধরে এএসআইয়ের তরফে শুনানিতে অংশ নেওয়া আইনজীবী সুভাষ গুপ্ত প্রাচীন স্মৃতিসৌধ ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান সুরক্ষা বিষয়ক বিশেষ আইন-১৯৫৮’র ১৬ ধারা উল্লেখ করে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের রক্ষণাবেক্ষণ করা সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভকে অসঙ্গতিপূর্ণ কোনও উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না।’ একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘যদি কোনও জায়গা দীর্ঘ ৪০০ বছর ধরে বাধা ছাড়াই দ্রষ্টব্যস্থান হয়ে ওঠে, সেটাই চলতে দেওয়া স্বাভাবিক।’
এএসআই তাদের হলফনামাতেও বলেছে, হিন্দু পিটিশনকারীদের আবেদন আইনত নিষিদ্ধ করাই বাঞ্ছনীয়। কেননা, ১৯১৪ সাল থেকে আইন বলেই কুতুবমিনার সুরক্ষিত। সেখানকার স্থাপত্যে হিন্দু ও জৈনদের দেব-দেবীর মূর্তির নিদর্শন রয়েছে, এটা ঠিকই। সেগুলি শুধু সুরক্ষিতই নয়, সাধারণের জন্য উন্মুক্তও। ফলে কুতুবমিনারের কাঠামো কোনও অবস্থাতেই পরিবর্তন করা যাবে না। সেখানে পুজো করার অনুমতি দেওয়া ঠিক নয়। এদিকে, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকও এদিন জানিয়েছে, কুতুবমিনারে মূল কাঠামো বদল করার পরিকল্পনা তাদের নেই। এক আধিকারিকের কথায়, ‘জায়গা খনন করার ইচ্ছে আমাদের নেই। কোনও ধর্মীয় অনুশীলন বন্ধ করার পক্ষেও নই।’