দীর্ঘকাল ধরে চলা সম্পত্তি মামলায় বিজয়। যাচাই না করে সম্পত্তি ক্রয় বা আর্থিক লেনদেনে ক্ষতির ... বিশদ
আসন্ন গুজরাত ও মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনকে নজরে রেখেই বিজেপি এই চটকদারি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই মনে করছেন মমতা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দাবি করেছেন, পেট্রল-ডিজেলের উপর কেন্দ্রীয় শুল্ক কমানোর ফলে রাজ্যগুলির রাজস্ব কোনওভাবেই কমবে না। সোমবার এই তত্ত্ব খারিজ করলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীই। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় শুল্ক কমানোর ফলে বাংলার কোষাগারেও বছরে প্রায় ১১৪১.৪৫ কোটি টাকা কম রাজস্ব আসবে। কারণ, বাংলায় পেট্রলের ক্ষেত্রে লিটার পিছু ১.৮০ টাকা এবং ডিজেলের ক্ষেত্রে ১.০৩ টাকা কমেছে রাজ্যের কর থেকে। যার ফলে পেট্রল বিক্রির দরুন বছরে ২৭৩.০৮ কোটি টাকা এবং ডিজেল বাবদ ৩৬৮.৩৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় কমে যাবে। আর আগেই সেস বাবদ এক টাকা ছাড় দিয়েছিল রাজ্য। যার জেরে রাজস্ব থেকে বছরে ৫০০ কোটি টাকা ছেড়েছে রাজ্য। মমতা বলেন, ঠিক একই কারণে প্রতি লিটার পেট্রল ও ডিজেলে যথাক্রমে ২.১৪ টাকা ও ১.৩৬ টাকা করে ছাড় দিচ্ছে কেরল। মহারাষ্ট্র প্রতি লিটার পেট্রলে ২.০৮ টাকা এবং ডিজেলে ১.৪৪ টাকা ছাড়া দিচ্ছে। রাজস্থান রাজ্য কর থেকে ছাড় দিচ্ছে পেট্রলের উপর ২.৪৮ টাকা ও ডিজেলে ১.১৬ টাকা ।
এই ব্যাখ্যা দিয়ে পেট্রল-ডিজেল নিয়ে কেন্দ্রের ‘চালাকি’ ফাঁস করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘ওরা কিন্তু সেস কমায়নি। কারণ ওই বাবদ ওদের কোষাগারে ঢোকে পুরোটাই। যেহেতু কেন্দ্রীয় শুল্কের ভাগ রাজ্যগুলি পায়, রাজ্যের উপর কোপ দিতেই ওরা এই শুল্ক কমিয়েছে।’
ফের একবার বিরোধী রাজ্যগুলিকে আর্থিকভাবে বঞ্চনা করার অভিযোগ তুলে, মমতা বলেন, ‘কেন্দ্র একদিকে বিরোধী রাজ্যগুলিকে টাকা-পয়সা কিছুই দেয় না। বাংলারই বকেয়া প্রায় ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বিজেপি পরিচালিত রাজ্যগুলি যা টাকা পায় আমরা তার তুলনায় কিছুই পাই না। উল্টে, আমাদের ন্যায্য প্রাপ্যটাও দেয় না কেন্দ্র।’
কেন্দ্র পেট্রল ডিজেলের দাম বাড়িয়ে ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষ থেকে ১৮ লক্ষ ২৩ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা ‘লুট’ করেছে। এমনকী, আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম যখন কম ছিল তখনও দাম বাড়িয়েছে তারা। এই নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা।