অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা, সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
দিল্লির সিংঘু সীমান্তে গত বছর নভেম্বর মাস থেকে আন্দোলন চালাচ্ছেন কৃষকরা। তাঁদের মূল দাবি, কৃষি ও কৃষক স্বার্থ বিরোধী তিনটি আইন বাতিল করতে হবে মোদি সরকারকে। এ নিয়ে দু’পক্ষের একাধিক বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সমাধানের কোনও সূত্র মেলেনি। নিজেদের অবস্থানে উভয়পক্ষই অনড়। এর মধ্যেই দেশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ে। সংক্রমণ ও মৃত্যুর লেখচিত্র ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ববিধি মানার দাওয়াই দিয়ে বিক্ষোভ ভেস্তে দিতে তলে তলে একটা পরিকল্পনা নিয়েছিল মোদি সরকার। তার সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দিত গম কাটার মরশুম। কারণ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে গম ঘরে তোলার কাজে ফিরবেন কৃষকরা। তাতে আন্দোলন অনেকটাই ফিকে হয়ে যাবে। আর তখনই আন্দোলন তোলার চেষ্টায় নামবে সরকার। এমনটাই ধারণা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু, সিংঘু সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের আন্দোলন রুখতে গম কাটার মরশুমকে হাতিয়ার করলে মোদি সরকার বড্ড ভুল করবে। যতদিন আমাদের দাবি পূরণ না হচ্ছে, ততদিন আন্দোলন চলবে। আন্দোলনরত কৃষক অমৃক সিং বলেছেন, ‘আমরা কৌশল বদলে আরও জোরদার বিক্ষোভের জন্য তৈরি হচ্ছি।’ কী সেই কৌশল? তিনি জানান, দলবদ্ধভাবে কৃষকরা গম কাটতে বাড়ি যাবেন। একে অপরের সহযোগিতার ভিত্তিতে তাঁরা ফসল ঘরে তুলবেন। একদল যখন বাড়ি যাবেন, অন্যদল বিক্ষোভ মঞ্চে হাজির থাকবেন। তাঁরা ফিরে এলে আবার একদল ফসল তোলার কাজে ঘরে ফিরবেন।