অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
গত বছর দেশ জোড়া করোনা সংক্রমণের সময়ই বিভিন্ন রেলওয়ে কোচকে ‘কোভিড কেয়ার কোচ’ হিসেবে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেলমন্ত্রক। এর মূল উদ্দেশ্যই ছিল, যদি করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে বেডের অভাব হয়, তাহলে যেন চটজলদি তাদের রেলের এই বিশেষ কোচে নিয়ে এসে চিকিৎসা করা যায়। সারা দেশের মোট ২১৫টি স্টেশনকে চিহ্নিত করে বলা হয়েছিল যে, ওইসব কোভিড কেয়ার কোচকে উল্লিখিত স্টেশনগুলিতে রাখা সম্ভব হবে। কোচগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবার দায়িত্বে থাকবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলিই। তবে কোচগুলির রক্ষণাবেক্ষণ এবং অন্যান্য পরিষেবার ভার থাকবে রেলেরই হাতে। রেলমন্ত্রক সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, সারা দেশে এহেন মোট ৫ হাজার ১৫০টি কোভিড কেয়ার কোচ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে তৈরি হয়েছে ৪ হাজার ২টি বিশেষ কোচ।
এর মধ্যে পূর্ব রেলের টার্গেট ছিল ৩৩৮টি কোভিড কেয়ার কোচ। তৈরি হয়েছে ১০৯টি। পূর্ব-মধ্য রেলের ২৬৮টি টার্গেটের মধ্যে একটিও তৈরি হয়নি। উত্তর-মধ্য রেলের ক্ষেত্রেও একই হাল। এখানে টার্গেট ছিল ১৩০টি। রেলমন্ত্রকেরই তথ্য বলছে, বহু কোভিড কোচকে ইতিমধ্যেই ফের যাত্রী পরিষেবার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে দিল্লি সরকারের মুখ্যসচিব বিজয়কুমার দেব রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান সুনীত শর্মাকে চিঠি লিখে আবেদন করেছেন যাতে, অবিলম্বে যাবতীয় চিকিৎসা পরিষেবা সহ পাঁচ হাজার বেড পর্যন্ত কোভিড কোচের বন্দোবস্ত করা হয়। সেই কোভিড কেয়ার কোচ রাখা হবে দিল্লির আনন্দ বিহার এবং শকুরবস্তি স্টেশনে। রেলমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন যে, ‘শকুরবস্তি স্টেশনে ৮০০টি বেড সংবলিত ৫০টি আইসোলেশন কোচ এবং আনন্দ বিহার স্টেশনে এরকম ২৫টি কোচ রাখা হয়েছে।’ প্রতিটিতে দুটি করে অক্সিজেন সিলিন্ডার থাকবে বলে রবিবার জানিয়েছে নর্দার্ন রেল। একইভাবে মহারাষ্ট্রের নান্দুরবার জেলা প্রশাসন ৯৪টি কোভিড কেয়ার কোচের জন্য আবেদন করেছে। নান্দুরবার স্টেশনে ২১টি এহেন কোচ রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রতিটি কোচেই ১৬টি করে কোভিড বেড থাকছে।