অত্যধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। আধ্যাত্মিক ... বিশদ
ভদোদরার সরকারি এসএসজি হাসপাতালের কর্মরত শিল্পা প্যাটেল। আইসিইউতে থেকে মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে এক সপ্তাহ লড়াই চালানোর পর মঙ্গলবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ প্রাণ হারান শিল্পার মা কান্তা আম্বালা প্যাটেল (৭৭)। মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করার ছ’ঘণ্টা পরে কাজে যোগ দেন শিল্পা। আবেগকে দূরে সরিয়ে রেখে পিপিই পরে এসএসজি হাসপাতালের চেয়ারে বসেন তিনি। এ প্রসঙ্গে মায়ের শেষ উপদেশ উল্লেখ করে শিল্পা বলেছেন, ‘মা বলেছিলেন, সব কিছুর আগে নিজের কর্তব্য।’
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার গান্ধীনগরে প্রাণ হারান চিকিৎসক রাহুলের মা কান্তা পরমার (৬৭)। বর্তমানে কোভিড ম্যানেজমেন্টের নোডাল অফিসার পদে রয়েছেন রাহুল। করোনা আক্রান্ত হয়ে যাঁরা মারা যাচ্ছেন, তাঁদের দেহ সৎকারের বিষয়টি দেখভাল করেন তিনি। বৃহস্পতিবার মায়ের শেষকৃত্য সেরে শুক্রবার এসএসজিতে কাজে যোগ দিয়েছেন রাহুল। তাঁর মা যদিও করোনায় মারা যাননি। রাহুলের কথায়, আমার মা বার্ধক্যজনিত কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। পরিবারকে নিয়ে মায়ের সৎকারের পর ভদোদরায় ফিরে এসেছি।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই দুই ডাক্তারের দায়বদ্ধতা চিকিৎসক মহলের নজর কেড়ে নিয়েছে। শীর্ষকর্তাদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে করোনার স্পেশ্যাল ডিউটিতে থাকা ডাঃ বিনোদ রাও বলেন, শোকের পরিবেশের মধ্যেও করোনা যোদ্ধাদের ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা ও আত্মত্যাগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। প্রসঙ্গত, করোনা রোগীদের সঙ্গে থাকতে থাকতে গত বছরের ডিসেম্বরে নিজেই আক্রান্ত হয়েছিলেন রাহুল। তিনি পাঁচ দিন এসএসজি হাসপাতালে ভর্তিও ছিলেন। রাহুলকে রেমডিসিভির ইঞ্জেকশনও দিতে হয়েছিল। ১৪ দিন পর কাজে ফেরেন তিনি। একইভাবে মহামারী শুরু হওয়া থেকে সরকারের করোনা মোকাবিলা টিমে রয়েছেন শিল্পা।